নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন নাসিক ২৫ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ লক্ষণখোলায় আপন ২ ভাইয়ের নানা অপকর্মে সমাজ হুমকিতে পরেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার মৃত সেলিম সাউদের ২ ছেলে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও বহু মামলার আসামী অপু সাউদ ও তার আপন বড় ভাই ইমরান সাউদ সহ তাদের গুন্ডা বাহিনীর জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
এলাকাসূত্রে জানা যায়, তারা ২ ভাই স্থানীয়ভাবে মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজী ও জুয়ার আসর বসানো ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত দিনমজুর, শ্রমিক ও নিরীহ মানুষদের বিভিন্ন উপায়ে জিম্মি করে তাদের টাকাপয়সা, মোবাইল ও সর্বস্ব লুটে নেয়া সহ নানারকম অপকর্ম করে বেড়ায়। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অপু-ইমরান ও তাদের মাস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসে। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে অপু সাউদ সহ অপু-ইমরান সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্যের নামে বহু মামলাও রয়েছে।
বড় ভাই ইমরান সাউদ বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা ভিপি রাজিবের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হলেও কয়েক বছর আগে তার ছোট ভাই অপু সাউদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানির সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করে নিজেকে একজন ছাত্রলীগ নেতা দাবি করতেন। আর রাজনীতির নামে অপু সাউদ মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ালে ছোট ভাইয়ের এই মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম সহযোগীর ভূমিকা রাখতেন বড় ভাই ইমরান সাউদ। তবে ইমরান-অপু সিন্ডিকেট রাজনীতির নামে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ালে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন অপরাধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অপু সাউদ সহ এই সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য আটক হয়।
এমনকি গতবছরের ৪ অক্টোবর অপু সাউদ ও তার এক সহযোগী ৪৭০০ পিস ইয়াবা সহ র্যাব-১০ এর কাছে ধরা পড়ে।
ফলে তখন অপু সাউদ কারাগারে বন্দী থাকায় তাদের এই মাদক সিন্ডিকেট যেনো ভেঙ্গে না পরে তার জন্য রাজনৈতিক শেল্টার বজায় রাখতে অপু সাউদের বড় ভাই ইমরান সাউদ হটাৎ ৩৮ বছর বয়সে এসে নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা বানাতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নেতাদের অনৈতিক অর্থ সুবিধা ও মাসোহারা দিয়ে তাদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করে। যদিও ইমরান সাউদ একসময় বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা ভিপি রাজিবের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ছিলেন।
ফলে স্থানীয় সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন সেখানে ইমরান-অপুর মতো মাদক সন্ত্রাসরা এখনো কাদের সাহসে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে বেড়াচ্ছে।
এলাকাবাসী আরো বলেন, বর্তমানে তারা ২ ভাই মিলে রাজনীতির নামে নীরবে মাদক ব্যবসা পরিচালনা সহ নানারকম অপরাধ সংঘটিত করে বেড়াচ্ছে। ছোট ভাই অপু সাউদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার পরেও বড় ভাই ইমরান সাউদের রাজনৈতিক শেল্টারে অপু সাউদ এখনো এলাকায় দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এবিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হলে ইমরান-অপু সিন্ডিকেটের কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে বলে বিভিন্ন সময়ে হুমকিধামকি প্রদান করে তারা। ফলে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এতদবিষয়ে র্যাব, ডিবি, পুলিশ তথা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা সহ যাদের আশ্রয়-পশ্রয়ে ইমরান-অপু ও তাদের মাদক সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা রাজনৈতিক পরিচয় প্রদান করে তাদের বিরুদ্ধেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে সচেতন রাজনৈতিক মহলের কাছে জোর দাবি জানায় এলাকাবাসী।