1. newsshariful@gmail.com : Md shariful islam : Md shariful islam
  2. torikhossainbappy@gmail.com : Torik Hossain Bappy : Torik Hossain Bappy
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
টানা ৫ দিন পর চালু ইন্টারনেট খুলছে অফিস, সূচিতে পরিবর্তন গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়েছে মাকসুদ চেয়ারম্যান  অর্থ সম্পদে শুভ ও নার্গিসের ধারে কাছেও নেই বাকি তিন প্রার্থী বাড়ি গাড়ি কিছুই নেই নার্গিস মাকসুদের চাঁনমারী মসজিদের স্থান পরিদর্শনে সেলিম ওসমান সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে সেলিম ওসমান, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য উপহার নিয়ে যাবেন বৃহস্পতিবার আমাদের সংগ্রামে ভিডিও প্রকাশের পর নবীগঞ্জ গালর্স স্কুলের সেই শিক্ষিকার সমাধান দিলেন সেলিম ওসমান রূপগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে এলাকাবাসীর মতবিনিময় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছে মাকসুদ পরিবার, ক্যাম্প নির্মাণে বাধা থানায় অভিযোগ

মাকসুদের স্ত্রীর হাতে মাসুমের স্ত্রীর বিজয়ী শুভেচ্ছার ফুল

স্টাফ রিপোর্টার
  • সংবাদ প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
  • ৪৪ জন্য পাঠক দেখেছে।

স্টাফ রিপোর্টার:  সদ্য সমাপ্ত বন্দর উপজেলার নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এর বাসায় গিয়ে তার সহধর্মিনী মিসেস নার্গিস মাকসুদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জোৎসা বেগম। যিনি বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মাসুম আহম্মেদ এর সহধর্মিনী।

মাসুম আহম্মেদ এর অনুসারীরা তাঁকে আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত নেতা দাবী করে কাজিম উদ্দিনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মাসুম আহম্মেদকে যোগ্য নেতা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

রোববার ১৯ মে বিকেলে বন্দরের ২৭নং ওয়ার্ডের গোকুল দাসের বাগ এলাকায় অবস্থিত মাকসুদ হোসেনের বাস ভবনে গিয়ে নার্গিস মাকসুদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়েছেন মাসুম আহম্মেদ এর সহধর্মিনী জোৎসা বেগম।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবিটি প্রকাশের পর বন্দরের সর্বত্র চলছে সমালোচনার ঝড়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীই এই ছবিটি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক বুঝাতে গিয়ে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের করা সেই বিখ্যাত ‘তলে তলে’ উক্তিটির ব্যবহার করছেন।

জানা গেছে, গত  ৮মে অনুষ্ঠিত হওয়া বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন রাজাকার পুত্র মাকসুদ হোসেনের কাছে। নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রকাশ্যে নিজ দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে রাজাকার পুত্র মাকসুদ হোসেনের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এ নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামকে আওয়ামী লীগ বহিস্কার করা হয়। সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন বর্হিভূত কাজের অভিযোগে মদনপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। সে সময় গুঞ্জন ছিল আওয়ামী লীগের আরো অনেক নেতাই অন্তরালে থেকে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। পরবর্তীতে সেই সকল নেতাদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রায় ১২দিন পেরিয়ে গেছে। পরাজয়ের গ্লানিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছিলো। সেই মুহুর্তে মাসুম আহম্মেদ এর সহধর্মিনী জোৎসা বেগমের এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর ব্যতিত ও ক্ষুদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

একটি সূত্রে জানা গেছে, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী দোয়াত কলম প্রতীকে এম.এ রশিদের পক্ষে নির্বাচনের দিন ধামগড় ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের দায়িত্ব ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহম্মেদ ও ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন। তারা দুজন আশ্বস্ত করে ছিলেন ধামগড় ইউনিয়ন থেকে দোয়াত কলম বিপুল ভোটের ব্যবধানে আনারস প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করে এম.এ রশিদ বিজয়ী হবেন। কিন্তু বাস্তবে পুরোপুরি উল্টো চিত্র দেখা গেছে। ধামগড় ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ২ কেন্দ্রে দোয়াত কলম বিজয়ী হতে পেরেছে। বাকিটি ৭টি কেন্দ্র বিপুল ভোটের ব্যবধানের মাকসুদ হোসেনের আনারস প্রতীকের কাছে পরাজিত হয়েছেন এম.এ রশিদ।

তবে মাসুম আহম্মেদের ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর আগে থেকে সন্দেহ ছিল। কেননা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে গত ৩০ জানুয়ারী বিকেলে লাঙ্গলবন্দের রাজঘাটে আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মাকসুদ হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় অংশ নিয়ে রাজাকার পুত্র মাকসুদ হোসেনের পক্ষে মাঠে নেমে পড়েন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহম্মেদ ও ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম। সেদিন রাজাকার পুত্রের পাশে বসে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সমালোচনাও চুপচাপ হজম করেছেন তারা।  একজন রাজাকার পুত্রের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন আগবাড়িয়ে ওই সভায় উপস্থিত হওয়া নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।

সে সময় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এম.এ রশিদ ও  মাকসুদ হোসেন ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম আহম্মেদ, সহ-সভাপতি এম.এ গাজী সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচরনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। যারা সবাই স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের অনুগত হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

তফসিল ঘোষণার পর এমপি সেলিম ওসমানের মধ্যস্থতায় এম.এ রশিদকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী রেখে কাজিম উদ্দিন, সানাউল্লাহ সানু, এম.এ গাজী সালাম ও দেলোয়ার হোসেন প্রধান নির্বাচন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন।

৩০ মার্চ বিকেলে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গনের মাঠে একটি মত বিনিময় সভায় উল্লেখিত সকলেই এম.এ রশিদকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেন। কিন্তু সেদিন মাকসুদ হোসেন ও আতাউর রহমান মুকুল না আসায় তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে অনুরোধ সহ হুমকিও দিয়ে ছিলেন এমপি সেলিম ওসমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুজনের কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ায়নি।

ওই সভাতে মাসুম আহম্মেদ এম.এ রশিদকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। সেই সাথে মাকসুদ হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, আপনি ফিরে আসেন। আজকে আপনি যে অবস্থানে আছেন সেটা এমপি সেলিম ওসমানের কারনে। ওনি একবার মুখ ফিরিয়ে নিলে আপনাকে চেয়ারম্যানী না ঘোড়ার ঘাস কাটতে হবে।

অনুগ্রহ করে আপনাদের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া গুলিতে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন টি শেয়ার করে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এ জাতীয় আরও সংবাদ ক্যাটাগরি
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৪
  • ১২:০৮
  • ৪:৪৩
  • ৬:৪৯
  • ৮:১১
  • ৫:২৪