স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন বন্দর উপজেলা নির্বাচনে বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী কে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এম.এ রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, নারী ভাই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী ছালিমা ইসলাম শান্তাকে সমর্থন দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সাথে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে দল থেকে বহিস্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাকসুদ হোসেন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্ধীতা করছেন।
শুক্রবার ৩ মে বিকেলে বন্দর ইউনিয়নের তিনগাঁও এলাকায় উপজেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সভা থেকে জাতীয় পার্টির ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, জাতীয় পার্টি একটি সুশৃঙ্খল দল। দলের চেইন অব কমান্ড আছে। এখানে দলের থেকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার কোন সুযোগ নেই। যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে আমি উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দিচ্ছি আজকের মধ্যেই তার বহিস্কারে চিঠি আমার কাছে পাঠাবেন।
মুছাপুর ইউনিয়নের মেম্বার ও জাতীয় পার্টির কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যারা মুছাপুর ইউনিয়নের মেম্বার আছেন আমি আপনাদের বলছি আজ থেকে আপনারাই মুছাপুর ইউনিয়নের উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করবেন। মুছাপুর ইউনিয়ন আপনাদের নেতৃত্বে চলবে। মুছাপুরের উন্নয়নে আপনারা উপজেলা নির্বাচনে এমন প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনবেন যেকিনা স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছ থেকে বরাদ্দ আনতে পারবে।
খোকা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আমরা উপজেলা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান পদে এম.এ রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানাউল্লাহ সানু এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছালিমা ইসলাম শান্তাকে সমর্থন প্রদান করলাম। জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীদের বলবো আজ থেকেই আলাপ আলোচনা করেন, বন্দরের প্রতিটা ভোটারদের ঘরে ঘরে যেতে হবে। তাদের সবাইকে বুঝাতে হবে এই তিনজন নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষ শান্তিতে থাকবে এবং এলাকার উন্নয়ন হবে। আমি আশা করি মানুষ বেইমান না। কিছু কিছু আরোদ দাররা বেইমান হতে পারে কিন্তু মানুষ কখনো বেইমান হতে পারে না। বন্দরের মানুষ যেমন নাসিম ওসমানকে ভালোবাসে তেমনি সেলিম ওসমানকেও ভালোবাসে। এই বন্দরে আমি কাজ করেছি এই বন্দরের সাধারণ মানুষ অত্যন্ত ভালো। আজ থেকে প্রতিদিন নেতাকর্মীরা ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করবেন।
বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহাম্মেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন ভাওয়াল সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।