স্টাফ রিপোর্টার: বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদের নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ২৯ এপ্রিল বিকেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ঘারমোড়া আমবাগান মাঠে হুমায়ন করিব এলিনের আয়োজনে এই নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনী উঠান বৈঠকে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাঈনউদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রধান।
আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ সহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে দেলোয়ার হোসেন প্রধান বলেন, আপনারা যেমন দেলোয়ার প্রধানকে সন্তান হিসাবে ঘাড়মোড়ায় আমাকে ভোট দিয়েছেন, সেদিন আমাকে দাড়াতে দেওয়া হয়নি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছিলো। আপনারা সারাদিন থেকে আমাকে ভোট দিয়েছেন, এগুলো আমি ভূলে গেলে আমি মুনাফেক। শামীম ভাই সেলিম ভাই আমাকে বলছে দেলোয়ার তোমাকে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে রশিদ ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। একবার ভাববেন ওনারা দুই ভাই রশিদ ভাইয়ের উপর কতটা আস্থা রাখেন। অতীতে আপনারা আমাকে যেভাবে ভোট দিয়েছেন আগামী ৮মে আপনারা রশিদ ভাইকে দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিয়ে দেলোয়ার প্রধানের হাতকে শক্তিশালী করেন, সেলিম ওসমানের হাতকে শক্তিশালী করেন। কলাগাছিয়া ইউনিয়নের প্রত্যেকটি কেন্দ্র থেকে রশিদ ভাই বিজয়ী হবে আমি আশা রাখি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ রশিদ বলেন, যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে, পতাকা পদদলিত করছে, আজকে তাদের সন্তানদের সাথে আমাকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে। তার দাদা, বাবা, চাচা সবাই সরকারী তালিকা ভুক্ত রাজাকার, আজ সে আপনাদের কাছে এসে ভোট চায়। রাজাকারের সন্তান আজকে ভোট ভিক্ষা করছে, মানুষের রক্ত চুষে খেয়ে টাকা কামিয়েছে এই রফিক রাজাকারের ছেলে মাকসুদ হোসেন। সেই টাকা দিয়ে সমাজ নস্ট করছে। ৭১এ আমরা দায়িত্ব নিয়ে ছিলাম আজকে আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে। ধামগড় ইউনিয়নে তার পরিবার ২৯জনকে জবাই করে হত্যা করেছে। ৪জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে। আজকে যখন তারা ভোট চাইতে আসে তখন কেন প্রশ্ন করেন না আপনাদের সেই সন্তানরা কই। তার বাবা করে ৭ নাকি ৮টা বিয়া ২২ জন ছেলে মেয়ে। সে কয়টা করছে ঠিক নাই। পত্রিকায় দেখলাম এক বউ মামলা করছে পত্রিকায় দেখলাম।