বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজি (BIMT) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে স্মরনীয় বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৭ এপ্রিল শনিবার বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩১ মহাসমারোহে সিঙ্গাপুরের ল্যাব্রাডর পার্কের বারলিয়ারশেডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অত্যন্ত জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে,ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সিঙ্গাপুরের সকলস্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে বৈশাখী উৎসব পালন করা হয়েছে।
মনমুগ্ধকর প্রানবন্ত বৈশাখী উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে বিআইএমটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক স্থাপন করেছে।
তাদের দাবী, সমৃদ্ধ বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে সিঙ্গাপুরের মাটিতে উদযাপন করার এর চেয়ে বড় ইভেন্টের নজির দ্বিতীয়টি আর নেই।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়,এই সংগঠনের প্রত্যেক সদস্য একে অপরের প্রতি গভীর ভ্রাতৃত্ববোধ , পরস্পরের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা, দলবদ্ধভাবে নিরলস কাজ করে যাওয়া এবং সিঙ্গাপুরের নানবিধ সামাজিক কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত সুপরিচিত।
২০০৬ সালের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজির প্রাক্তন ছাত্রদের দ্বারা তৈরিকৃত করা একটি সংগঠন। যা সিঙ্গাপুরে বসবাসরত বাঙালী কমিউনিটির মধ্যকার সুসম্পর্ক স্থাপন এবং বাঙালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে সংরক্ষণ করার গুরু দায়িত্ব হাতে নেয়।
কালের পরিক্রমায় এই সংগঠন কেবল বিআইএমটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এই সংগঠনের ব্যাপ্তি ঘটেছে সিঙ্গাপুরে বসবাসত প্রতিটি বাঙালীর কাছে। বিআইএমটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছে একটি সুপরিচিত সুসংগঠিত সংগঠন হিসেবে পরিচিত । বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য নিবেদিত এবং নিঃস্বার্থহীনভাবে সেবা প্রদানের জন্য বাংলা ভাষাভাষী বাঙালী মানুষের কাছে বিআইএমটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অত্যন্ত আস্থার স্তম্ভে পরিণত হয়েছে।
সংগঠনের দীর্ঘ বিরতিহীন এই যাত্রায় বিভিন্ন পটভূমির ভিত্তিতে নানান শ্রেণীর মানুষের সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই সংগঠনের নীতিগুলোর পরিবর্তন,পরিমার্জন করা হয়েছে। কালের পরিক্রমায় এই সংগঠন একটি বৈচিত্রময় বাঙালী কমিউনিটির প্ল্যাটফর্ম হিসবে সুখ্যাতি লাভ করেছে।
৪৫০ অতিথির অংশগ্রহণে বর্ষবরণ উৎসবটি সাজানো হয়েছিল বৈশাখি গান, নৃত্য, লাকি ড্র, অডিয়েন্সেএংগেজিং গেম এবং প্রাণবন্ত উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে। আগত নারীদের রাত জেগে বৈশাখির আল্পনা আঁকা, বাঙালী গড়ানার স্টেজ সাজনো কোন কিছুর কমতি ছিল না এই ইভেন্টে। আগত অতিথিদের জন্য সুবিখ্যাত ঘরোয়া রেস্তোরা থেকে দুপুরের খাবারের জন্য পদ্মার মচমচে ভাঁজা ইলিশের সাথে পান্তা ভাত,বাহারি রকমের ভর্তার আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়াও গান, নৃত্যসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জান সামাজিক সংহতির উপর গুরুত্বারোপ করেন,ঐক্য এবং সম্প্রীতির আহবান জানান,সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশি সম্প্রদায় তৈরির উপর জোড় প্রদান করেন। ভার্চুয়ালী যুক্ত হন জেনারেল সেক্রেটারি ডালিজ্জামান।
উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান মিয়া একটি মর্মস্পর্শী, হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য প্রদান করেছেন যার সারকথা ছিল ধারাবাহিকভাবে প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাফল্যের দিকে ক্রমাগত ছুটে চলার প্রতি আহবান। বিআইএমটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ম্যানেজমেন্ট কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি, অগ্রজ এবং অনুজ সদস্য এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রম অনুষ্ঠান সাফল্যের মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে , যা সমস্ত সম্মানিত অতিথিদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়াতে সমর্থ হয়।
এছাড়াও বিআইএমটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ম্যানেজমেন্ট কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি, অগ্রজ এবং অনুজ সদস্য এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।