বিশ্বজিত দাস: সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে তিন ডাকাত সহ ডাকাতি হওয়া তিন ভরি স্বর্ণ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ডাকাত দলের সর্দার কামাল গাজী ওরফে আদল শেখ ওরফে বাদশা, সে খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত শহীদ গাজীর ছেলে, মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে সজিব (২৯), সে মুন্সিগঞ্জ জেলার বাড়ৈখোলা এলাকার আনছার আলী ছেলে, মোঃ আকাশ (১৮), (ভাসমান), সিদ্ধিরগঞ্জ মুসলিমনগর মাস্টারনী বাড়ীর আক্তার হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস কনফারেন্সে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এসব তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য গত ১৮ এপ্রিল রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি তালতলা সাকিন এলাকায় দেওয়ান মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলায় হাজী রায়হান উদ্দিন দেওয়ান মুন্নার ফ্লাটের জানালার গ্রিল কেটে অজ্ঞাত ৮/৯ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৫১ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ, ০৫টি মোবাইল ফোন, ০১টি ম্যাকবুক এবং নগদ ১০ লাখ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার সূত্রধরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীণ গোদনাইল মধুঘর এলাকা থেকে আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম ও মোঃ আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃদের দেওয়া তথ্য মতে ঢাকার রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত সর্দার কামাল গাজী কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ডাকাতি হওয়া মালামাল থেকে ৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্য মতে জালকুড়ি তালতলা ডিএনডি খাল হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র-সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা অপরাধ স্বীকার করে ঘটনার সাথে ০৭ জন জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক অন্যান্য আসামী এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত সর্দার মোঃ কামাল গাজীর বিরুদ্ধে ০৮টি ডাকাতি এবং আসামী মোঃ রফিকুল ইসলামের এর বিরুদ্ধে ০২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেণ করা হয়েছে।