স্পোর্টস ডেস্ক: মোস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়া আগের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে টানা দ্বিতীয় হার দেখেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। সোমবার বাংলাদেশি পেসারকে ফিরিয়ে জয়ের দেখা পেলো আইপিএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কলকাতা নাইট রাইডার্স টানা তিন জয়ের পর প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ পেলো।
প্রথম দুই ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলে সাফল্য অর্জন করেছিল চেন্নাই। পরের দুটি ম্যাচ তারা হেরে যায় হায়দরাবাদ ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মাঠে। নিজ শহরে ফিরে আবারও জয়ের স্বাদ পেলো ইয়েলো সাবমেরিনরা।
মাত্র ১৩৭ রানে কলকাতাকে আটকে দিয়ে জিততে ভুগতে হয়নি চেন্নাইকে। ১৮তম ওভারে ৭ উইকেটে জিতে গেছে তারা। পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট তাদের। আর চার ম্যাচে সমান পয়েন্ট কলকাতার।
অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরিতে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় চেন্নাই। ১৭.৪ ওভারে ১৪১ রান তোলে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
৫৮ বলে ৯ চারে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রুতুরাজ। তার আগে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন চেন্নাই অধিনায়ক। ২৫ রান করে আউট হন নিউজিল্যান্ড ব্যাটার। এছাড়া শিবম দুবে ১৮ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন।
এক ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই প্রশংসনীয় বোলিং করলেন মোস্তাফিজ। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ২৯ রান দেওয়ার পর ইনিংসের শেষ ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন চেন্নাইয়ের বাংলাদেশি বোলার। মহেন্দ্র সিং ধোনি আন্দ্রে রাসেলের ক্যাচ না ফসকালে তৃতীয় উইকেট থাকতো তার নামের পাশে। চার ওভারে অন্যদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ১৬টি ডট দিয়ে প্রতিপক্ষের জন্য দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছিলেন বাঁহাতি পেসার।
মোস্তাফিজের সঙ্গে তুষার দেশপান্ডের গতি আর রবীন্দ্র জাদেজার স্পিনে ৯ উইকেট হারায় কলকাতা। তিনটি করে উইকেট নেন তুষার ও জাদেজা।
ইনিংসের প্রথম বলে ফিল সল্টকে ফেরান তুষার। তারপর সুনীল নারিন ও অঙ্করিশ রাঘুবংশী ঝড় তোলেন। ৫ ওভারে ১ উইকেটে ৫০ রান সংগ্রহ করে কলকাতা। জাদেজা বল হাতে নিয়ে দৃশ্যপট পাল্টে দেন। এই অফস্পিনার রাঘুবংশী (২৭) ও নারিনকে (২৪) একই ওভারে মাঠছাড়া করেন। পরের ওভারে ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৩) তার শিকার হন।
পিচের আচরণ নাটকীয়ভাবে পাল্টে গেলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কলকাতা। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। শেষ ওভারে মোস্তাফিজের কাছে উইকেট হারান তিনি।