নারায়ণগঞ্জের ইজারাদারদের আভ্যন্তরিন কোন্দলের খেশারত দিতে হচ্ছে মাছের আড়ৎদারসহ বিক্রেতাদের।
গত ২ দিনে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ ফেরত গেছে বলে আড়ৎদার সমিতি জানায়। এ ঘটনায় ১ লা জুলাই নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সূত্র মতে, নারায়নগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ৩ নং মাছ ঘাটের নতুনভাবে ইজারা পান দেওভোগ এলাকার শিবলী মাহমুদ। দীর্ঘদিন যাবত এ ঘাটের ইজারাদার ছিল শহিদুল্লাহ মিয়া। শিবলী মাহমুদ ইজারা পাওয়ার পরে রাত ১২ টার পর থেকে উৎসব, বন্ধন বাসসহ অন্যান্য গাড়ী ৩ নং মাছ ঘাটের রাস্তায় পাকিং করে রাখে। এ গাড়ী পাকিংয়ের জন্য গত ৩০ জুন রাত ও ১ লা জুলাই রাতে বিভিন্ন জেলা শরিয়তপুর, সাতক্ষীরা, যশোর, ময়মনসিংহের ১৫/২০ টি মাছের ছোট- বড় ট্র্যাক আড়ৎ পর্যন্ত পৌছাতে পারেনি।প্রায় ৪৫/ ৫০ লাখ টাকার মাছের এ ট্র্যাকগুলো ফেরত যাওয়ায় ক্ষতির কবলে পড়ে বলে মাছ ব্যবসায়ীরা।
আড়াৎদার সমিতির সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন ছনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘাটের ইজারাদার যে কেউ হোক আমরাতো তাদের নির্ধারিত খাজনা দেই। ইজারাদার যে হোক আমাদের কোন সমস্যা নাই।
আমরাতো তাদের নিয়ম অনুযায়ী মাছ বিক্রি করে খাজনা দেই। তাহলে আমাদের মাছের ট্র্যাক আসতে না পেরে নারায়ণগঞ্জ হতে ফেরত গেছে। আমরা এখন কি করবো। নারায়নগঞ্জ ঐতিহ্যবাহি ৩ নং মাছ ঘাটের ব্যবসা এখন অনেকটা হুমকির মুখে। মাছ আসতে না পারায় খুচরা বিক্রেতারা আরো বেশি বেশামাল অবস্থায় জীবন -যাপন করছে।
সার্বিক বিষয়টি পর্যালোচনা করে ঐতিহ্যবাহী ঘাটের ঐতিহ্য রক্ষার্থে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ মৎস্য অধিদপ্তরের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগীরা।