নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডে লক্ষনখোলা বালুর মাঠে অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা পায় সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন।
হাট ইজারার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে স্থানীয় কন্ট্রাকটর ফরিদ নামের একজন আওয়ামী লীগ নেতা এমন সন্দেহে দফায় দফায় তার উত্তর লক্ষনখোলাস্থ নিজ বাড়িতে হামলা চালিয়েছে কাউন্সিলর এলনায়েত ও তার বড় ভাই হেলাল হাজী, আয়নাল, মাজাহারুল, নাজমুল, বাদল সহ অন্তত অর্ধশতাধীক লোকজন। গতকাল বিকেলে এ হামলা চালায় বলে জানিয়ে ফরিদের বাড়ির লোকজন। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই জালাও পোড়াও মামলার আসামী।
জানা গেছে, গত ২০ জুন তারিখে নাসিক ২৫ নং ওয়ার্ডে লক্ষনখোলা বালুর মাঠটি ইজারা পায় মাই টিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে স্থানীয় বেশ কজন অবহেলিত আওয়ামী লীগ নেতাও জড়িত ছিলেন। হাটটি ইাজারা না পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর পাগল হয়ে ইজারাদার সহ তার আত্মীয়দের উপর বেশ কয়েকবার হামলা চালায়।
পরে জেলা প্রশাসন বিষয়টি জেনে দেখে ওই হাটটি অনুমোদনই দেয়া হয়নি।
পরে গত ২২ জুন হাটটিকে অবৈধ ঘোষনা করে বন্ধ করে দেন। পরবতীর্তে হাটে থাকা বাশ সহ সমস্ত ডেকোেও,শন ভেঙ্গে ফেলে কাউন্সিলরের লোকজন। এতে ইজারাদারের প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিষয়টি মেয়রের কার্যালয়ে এখনও ঝুলন্ত রয়েছে সমাধানের অপেক্ষায়। তবে কাউন্সিলর এনায়েত বিষয়টিকে এখনো মাথায় রেখে ঈদের ৩ দিন পর অথার্ৎ গতকাল বিকেলে ইজারাদারকে সহায়তা করার সন্দেহে ব্যবসায়ী ফরিদেও বাদিতে গিয়ে হামলা চালিয়েছে উপরে উল্লেখিত বিবাদীরা।
পরে বন্দর থানার ওসিকে জানালে তিনি সাথে এসআই শওকতকে পাঠালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। বর্তমানে ফরিদ এলাকায় ঢুকলে তাকে প্রানে মেরে ফেলবে এমন হুমকিও দিচ্ছে কাউন্সিলরের লোকজন।
এ বিষয়ে ফরিদ জানায়, ইদের আগে বন্দর থানা ওসি নিজে গিয়ে আমাকে বাসায় পৌছে দিয়ে আসছে। তখনও তাদের সামনেই আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছে। এখনও ওরা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহযোগীতা চাই।
এ বিষয়ে কাউন্সিলকে ফোন করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এস আই শওকত জানান, ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং বাড়ির লোকজনকে বুঝিয়ে বলে আসছি। বিষয়টি ওসি স্যারকে জানাবো।