হত্যাকান্ডের ৫ দিন পর কবর থেকে বেঁদে গৃহবধূ ফাতেমার লাশ উত্তোলন

লেখক: Shariful Islam
প্রকাশ: ১ বছর আগে

হত্যাকান্ডের ঘটনার  ৫ দিন পর বন্দরে বেঁদে সম্প্রদায়ের গৃহবধূ  ফাতেমা আক্তার (২৭) এর মৃত দেহ স্থানীয় একটি কবরস্থান থেকে উত্তেলল করা হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ মা রোজিনা বেগমের দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে বন্দর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুরাইয়া ইয়াসমিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে বন্দর থানা পুলিশ ওই মৃতদেহটি বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মহনপুর কবরস্থান থেকে  উত্তেলন করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

নিহত গৃহবধূ ও ১ সন্তানের জননী ফাতেমা আক্তার (২৭) মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মোল্লাকান্দী এলাকার নোয়াব মিয়ার মেয়ে। যার মামলা নং- ৮(৮)২২। ধারা- ৩০২/ ২০১/৩৪ পেনাল কোড- ১৮৬০

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মোল্লাকান্দী এলাকার বেঁধে নোয়াব মিয়ার মেয়ে ফাতেমার সাথে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর-ধলেরশ^রী এলাকার সিরাজ মাতবর মিয়ার ছেলে মোর্শেদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ফাহিম (৭) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

গত ৩০ জুলাই দিবাগত রাত দেড়টায় ঘাতক স্বামী  র্মোশেদের মামা আকবর মিয়া মামলার বাদিনী ননদের স্বামী গিয়াস উদ্দিনের ০১৯৪২৯০৩১৩৪ নাম্বার মোবাইল ফোনে দিয়ে গৃহবধূ ফাতেমা বেগম অসুস্থ্য বলে জানায়। এর দুই ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৩টায় স্বামী পক্ষের আত্মীয় স্বজনরা উল্লেখিত নাম্বারে আবার জানায় তাদের মেয়ে ফাতেমা বেগম মারা গেছে। এ সংবাদ পেয়ে নিহত গৃহবধূর পিতা/মাতাসহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা ৩১ জুলাই সকাল ৮টায় স্বামীর বাড়িতে এসে লাশ দেখতে পায়। সে সাথে লাশের গলায় আঘাতের চিহিৃসহ  নাক, কান ও গলা দিয়ে তরল পদার্থ দেখতে পায়। গৃহবধূর স্বজনরা লাশ দাফনের জন্য মুন্সিগঞ্জে নিয়ে যেতে চাইলে ওই সময় ঘাতক স্বামী, শশুড়/ শাশুড়ীসহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা লাশ দিতে অনিহা প্রকাশ করে তড়িগড়ি ভাবে লাশ দাফন করে ফেলে।

এ ছাড়াও ঘাতক স্বামী র্মোশেদ, শশুড় সিরাজ মাতবর ও শাশুড়ী কাজলী বেগম পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারকে শাররিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে বন্দর থানা পুলিশ মহনপুর কবরস্থান থেকে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার লাশ উত্তেলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। মামলা দায়েরের পর থেকে স্বামী ও শশুড়/শাশুড়ী পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যহত রয়েছে।

  • হত্যাকান্ডের ৫ দিন পর কবর থেকে বেঁদে গৃহবধূ ফাতেমার লাশ উত্তোলন