সিদ্ধিরগঞ্জে ইফতীর পাওনা টাকা না দিতেই চোরাই তেল ব্যবসায়ী প্রতারক জনির হামলার নাটক!

লেখক: সিদ্ধিরগঞ্জ( নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

সিদ্ধিরগঞ্জের ৬নং ওয়ার্ড সুমিলপাড়া এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরফে জনি চোরাই তেলের ব্যবসার আড়ালে একজন চিহ্নিত প্রতারক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

বাসা সুমিলপাড়া হলেও নাসিক ৮নং ওয়ার্ড গোদনাইল চেয়ারম্যান অফিস সংলগ্ন মেসার্স অনন্যা এন্টারপ্রাইজ নামে চোরাই তেলের হাউজ গড়ে তুলে। যার নেই কোন পরিবেশ ছাড়পত্র, নেই কোন বিস্ফোরক লাইসেন্স। নেই এনওসি’র সার্টিফেকেট। অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা। এই চোরাই তেলের ব্যবসার লোভ দেখিয়ে অনেকের সাথে জনি করেছে প্রতারনা। অনেকে জনির পাল্লায় পড়ে হয়েছে নি:স্ব। যাদের মধ্যে রয়েছে গোদনাইল এসও এলাকার রাব্বি, শাকিলসহ আরো অনেকে।

সর্বশেষ প্রতারক ও চোরাই তেল ব্যবসায়ী জনির প্রতারনা শিকার হয়েছে হাবিবুর রহমান ইফতী। তেলের ব্যবসার লোভ দেখিয়ে হফতীর নিকট থেকে ৪লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ধার(কর্জ) নেয় এই প্রতারন জনি। বিভিন্ন সময় দেই দিচ্ছি বলে শুরু করে প্রতারনা।

পরবর্তীতে এলাকার বিচার শালিস হলে ব্যবসায় লস হচ্ছে ইত্যাদি অজুহাত দেখিয়ে প্রতারক জনি ৪লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে গত ১৮ এপ্রিল ১লক্ষ ৬৭ হাজার ৩’শ টাকার একটি প্রাইম ব্যাংক নারায়নগঞ্জের শাখা চেক প্রদান করে। যার চেক নাম্বার সিডিবি-১২১৬৭৯০।

ব্যাংকে টাকার জন্য ব্যবসায়ী ইফতি গেলে সেখানে গিয়ে জানতে পারে সেই একাউন্টে কোন টাকা নেই। এ ব্যাপারে ইফতী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন প্রতারক জনির বিরুদ্ধে। এই পাওয়া টাকা না দিতে ও জনি বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করায় ব্যবসায়ী ইফতীর বিরুদ্ধে মিথ্যে হামলা ও মামলার নাটক সাজিয়েছে প্রতারক জনি। এই অভিযোগ ব্যবসায়ী ইফতীর।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী ইফতী জানান, যে প্রতারক ধারের টাকা দিতে পারে না। ১লক্ষ ৬৭ হাজার ৩’শ টাকার ভুয়া চেক দিয়েছে। যার একাউন্টে কোন টাকা থাকে না সে কিভাবে তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে ৯লক্ষ ৭০ হাজার টাকা রাখে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে এর প্রমান চাইলে সিসি ক্যামরার ভিডিও ফুটেজ প্রমান হিসেবে প্রশাসন ও সাংবাদিকরা চাইবে তাই পরিকল্পিতভাবেই নিজের লোক দিয়ে সিসি ক্যামরা ও ডিবিআর মেশিন সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কারন, জনি একজন চিহ্নিত প্রতারন। সে চোরাই তেলের ব্যবসা করে। তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে সিসি ক্যামরা অবশ্যই রয়েছে। সেখানে সে প্রমান করুক তার প্রতিষ্টানে হামলা হয়েছে। মানুষ তো হামলার প্রমান রাখার জন্য সিসি ক্যামরা লাগায়। তার সিসি ক্যামরার ফুটেজ কোথায়। অর্থাৎ জনি পাওয়ান টাকা না দিতেই মিথ্যে হামলা ও মামলার নাটক সাজিয়েছে। আর সেই নাটক যাতে ধরা না পড়ে যায় সেজন্য জনি নিজের লোক দিয়েই সিসি ক্যামরা ও ডিবিআর মেশিন সরিয়ে ফেলেছে।

ইফতী আরো জানায়, প্রতারক জনি সাংবাদিকদের নিকট স্বীকার করেছে, টাকা লেনদেন নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়েছি। পুলিশের এস আই হুমায়ূন সাহেবও স্বীকার করেছে টাকা লেনদেন নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই থেকেই বুঝা যায়, আমি যে প্রতারক জনির থেকে টাকা পাই এটা সত্য। তাহলে আমার পাওয়া টাকা চাওয়া কি অপরাধ। কারো বিপদে টাকা ধার দেয়া কি অপরাধ। এখন টাকা চাইতে গেলে মিথ্যে নাটক সাজিয়েছে প্রতারক জনি। নাটক সাজিয়েছে হামলার ও মামলার। অথচ আমাকে যে ভুয়া চেক দিয়ে প্রতারনা করলো, আমি যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলাম প্রতারক জনির বিরুদ্ধে সেটাতো কোন সাংবাদিক দেখলো না। আজকাল ভালো কাজ করেও মিথ্যে হামলা ও মালার শিকার হতে হয়। অথচ চোরাই তেলের ব্যবসার নামে জনি যে আমার সাথে প্রতারনা করলো, মিথ্যে টাকা লুটের নাটক সাজালো এর বিচার করবে কে। আমি যে জনির প্রতিষ্টানে হামলা চালিয়েছে তার প্রমান সে করুক। অথচ আমার টাকার পরিবর্তে আমাকে নিয়ে হামলা ও মামলার নাটক সাজানো হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।

  • সিদ্ধিরগঞ্জে ইফতীর পাওনা টাকা না দিতেই চোরাই তেল ব্যবসায়ী প্রতারক জনির হামলার নাটক!