শ্রীপুরে শিক্ষক সমিতির নেত্রীর প্রাইভেট ও গাইড বাণিজ্য! 

লেখক: মাহফুজুর রহমান ইকবাল, গাজীপুর
প্রকাশ: ১ বছর আগে

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার বৈরাগীচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকা আসমা আফরোজ এর বিরুদ্ধে প্রাইভেট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে সংসদ গাইড বিক্রি করে থাকেন। তিনি শ্রীপুর পৌর শিক্ষক সমিতির সভাপতি।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, আসমা আফরোজ এর বাড়ি থেকে কিছু ছাত্র-ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়িতে প্রবেশ করছে এবং কিছু ছাত্র-ছাত্রী পড়া শেষ করে বের হয়েছে।

এসব শিক্ষার্থীর সাথে সকাল ৮টার দিকে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষিকা তাদের কাছ থেকে ক্লাস অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫০০ থেকে ১০০০টাকা নিয়ে থাকেন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে রয়েছে গাইড বই। এবিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন ম্যাডামের কাছ থেকেই টাকার বিনিময়ে ক্রয় করেছি।

শিক্ষিকার বাড়ি থেকে বিদ্যালয় একবারে সন্নিকটে থাকায় কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই দাপুটের সহিত অধৈবভাবে কোচিং বাণিজ্য করে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, শিক্ষকদের কাছে আমরা একধরনের জিম্মি হয়ে পড়েছি। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের জন্য বাধ্য হয়েই আলাদা প্রাইভেট পড়াতে হচ্ছে।

সহকারী শিক্ষকা আসমা আফরোজ প্রতিবেদককে বলেন, আমি স্কুল টাইমে প্রাইভেট পড়াই না। আর আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে? ভিডিও ফুটেজ দেয়ার অনুরোধ করেন।

বৈরাগীচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, আমার বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো হয় না। তবে বিদ্যালয়ের শুরু এবং শেষে কোন শিক্ষক কি করেন তা আমার জানা নেই।

এদিকে প্রাইভেট টিউশন ও কোচিং বন্ধে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। আদেশে বলা হয়েছে কোন সরকারি কিংবা এমপিওভুক্ত শিক্ষক প্রাইভেট কোচিং করাতে পারে না। যেসব শিক্ষক আইন অমান্য করে প্রাইভেট টিউশন বা কোচিং বানিজ্যে জড়িত থাকবে তাদের এমপিও বাতিল কিংবা চাকরী থেকে বরখাস্তের শাস্তিমুলক ব্যবস্থা থাকবে।

এ ক্ষেত্রে ২০১২ সালে প্রনীত সরকারি নীতিমালা বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

  • শ্রীপুরে শিক্ষক সমিতির নেত্রীর প্রাইভেট ও গাইড বাণিজ্য!