অবশেষে রাজপথে নামলেন সদ্য ঘোষিত বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহম্মেদ। ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ।
৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও পথ সভা করেন। ধামগড় হয়ে গুকুলদাশেরবাগসহ বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।
পথ সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মাসুম আহম্মেদ বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার দেশের সর্বস্থরের মানুষের হৃদয়ের স্পদন। এটা শুধু আওয়ামীলীগ সরকার না, জনগণের সরকার। জাতির পিতার কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুকে কষ্টের পাথর চাপা দিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। যা দেখে বিএনপি -জামায়াত ইসলামীর মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। যে হায় হায় দেশের উন্নয়ন করে শেখ হাসিনা মানুষের হৃদয়ের স্পদনে জায়গা করে নিয়েছেন। দেশ ও জাতির উন্নয়ন দেখে আজ শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়। ওদের কত বড় বুকের পাঠা আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়। সাবধান হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে তাকে তিনি মাফ করে দেন। কিন্তু আমরা তার কর্মী, আমরাতো চুপ থাকতে পারি না। একটু ইঙ্গিত পেলে ঘর থেকে ধরে ধরে এনে জনতার আদালতে বিচার করা হবে। যে গুটি কয়েকজন বা হাজার পরিমান হোন, আপনাদের খুঁজে বের করতে কিন্তু সময় লাগবে না।
উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-কে হত্যার হুমকি ও দেশ বিরুধী ষরযন্ত্রের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সমগ্র দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষনা করেন। যা গত ৪ জুন শনিবার নির্ধারিত সময়ে দেশব্যাপী কর্মসূচী পালন করলেও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন কর্মসূচী ছিল না।
বিগত বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শুধুমাত্র সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করে তিন বছর মেয়াদি কমিটি দেয়া হয় সেই তিন বছরের আরাই বছর পরে মাত্র ছয় মাস বাকি থাকতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দ্বয় ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নাম প্রকাশ করেন। তাছাড়া বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত পাঁচ জন প্রার্থীর মধ্যে মদনপুর ইউনিয়নে গাজী এম এ সালাম ছাড়া বাকি চারটি ইউনিয়নেই নৌকার প্রার্থীদের লজ্জাজনক পরাজয় বরন করতে হয়েছিল।