যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি প্রাথমিক স্কুলে নির্বিচারে গুলির ঘটনায় ২১ জনের প্রাণ গেছে, যাদের মধ্যে ১৯ জন ওই স্কুলের শিক্ষার্থী।
বিবিসি লিখেছে, মঙ্গলবার সাউথ টেক্সাসের উভালদে শহরের রব এলিমেন্টারি স্কুলে ঢুকে ১৮ বছরের এক তরুণ নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করে, পরে সেই হামলাকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ওই তরুণের নাম সালভাদর রামোস। তিনি একাই ওই হামলা চালান বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে।
টেক্সাস রেঞ্জের পুলিশের বরাত দিয়ে রাজ্যের সেনেটর রোল্যান্ড গুতিয়েরেজ সিএনএনকে বলেছেন, এ হামলায় ১৯ শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক তিনজন নিহত হয়েছেন।
গোলাগুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন; তবে তাদের আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হামলাকারী গড়ি নিয়ে ওই স্কুলে ঢোকে। তার হাতে ছিল একটি হ্যান্ডগান এবং একটি এআর- ফিফটিন সেমি অটোমেটিক রাইফেল। স্কুলে ঢুকে নিজের দাদির ওপর গুলি চালিয়ে সে হত্যাকাণ্ডের সূচনা করে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি লিখেছে, ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণ স্থানীয় একটি হাই স্কুলের ছাত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যে শিক্ষার্থীরা মারা গেছে, তারা ওই স্কুলের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। এ ঘটনায় শোক জানিয়ে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে পতাকা অর্ধনমিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
নির্বিচারে গুলির এসব ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে আবারও তিনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিয়েছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও একই আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্রের সহজলভ্যতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে উঠেছে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন কঠোর করার দাবি উঠলেও দেশটির রাজনীতিবিদরা এ প্রশ্নে বিভক্ত।
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এভাবে নির্বিচারে গুলির ঘটনা বার বার নাড়া দিয়ে গেছে মার্কিন নাগরিকদের। গতবছরই এরকম ২৬টি ঘটনা সে দেশে ঘটেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে হামলাকারীও বয়সে কিশোর বা তরুণ।
২০১২ সালে স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে এক যুবকের গুলিতে ২৬ জন নিহত হয়েছিল, যাদের ২০ জনের বয়স ছিল ছয় বছরের নিচে।
তার আগে ২০১৮ সালে ফ্লোরিডার একটি স্কুলে হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ ১৭ জনের প্রাণ যায়।