মহেশপুরে ঘরে ঘরে ঠান্ডা-জ্বর:হাসপাতালে রোগীর চাপ

লেখক: সেলিম রেজা, মহেশপুর, ঝিনাইদহ
প্রকাশ: ১ বছর আগে

মাঝে মাঝে বৃষ্টি আর তীব্র তাপমাত্রা বাড়ার কারণে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইদহের মহেশপুরে।

আবহাওয়ার তারতম্যর কারণে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ডায়রিয়া নিউমোনিয়া,জ্বর,সর্দিসহ নানা রোগে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে হাসপাতালে।ঘরে ঘরে সর্দি জ্বর।

এ ছাড়াও গরমে পেটের সমস্যা জনিত নানা রোগে চিকিৎসা নিতে আসা যুবক-বৃদ্ধাদের সংখ্যাও যেন কম নয়।

এদিকে বাড়তি রোগীর চাপে হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। চিকিৎসকরা বলছেন বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের।

গত ২৪ জুলাই রবিবার সকালে ৫০ শয্যার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় শিশুসহ ১০২জন রোগী ভর্তি রয়েছে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। শয্যা না থাকায় অনেক রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে মেঝেতে ও বারান্দায়।

হাসপাতালের সিনিয়র নার্স নমিতা বালা রায় জানান, হঠাৎ রোগী বাড়ায় চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
নার্সরা জানান, স্বল্প জনবল দিয়ে সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

সিনিয়র স্টাফ নার্স রমিজ রাজ বলেন, আয়া, ক্লিনারসহ বেশ কয়েকটি পদে স্টাফ না থাকায় রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

রোগীর স্বজনরা বলছেন, বাড়তি রোগীর কারণে খুব সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে হাসপাতালে। বিশেষ করে বাথরুম সমস্যা প্রকট। শ্বাসকষ্ট ও গ্যাসের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা পৌর এলাকার বাহার আলী বলেন, গতকাল রাতে ভর্তি হয়েছি। বেড না পাওয়ায় মেঝেতে থাকতে হচ্ছে।

নেপা থেকে আসা আব্দুর রহিম বলেন, জমা-জমি সংক্রান্ত মারামারিতে আহত হয়ে ২দিন ধরে বেড না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি।

মহেশপুর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ রাজু আহমেদ বলেন, শয্যা সংকটে বাড়তী রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তারপরও করার কিছুই নাই, কারণ আমাদের পেশাটাই রোগীদের সেবা প্রদানের।

তিনি আরও বলেন, মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নতি করণের জন্য উর্ধতন কর্তীপক্ষের সাথে চিঠি চালাচালি চলছে, দেখা যাক কি হয়।

  • মহেশপুরে ঘরে ঘরে ঠান্ডা-জ্বর:হাসপাতালে রোগীর চাপ