নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর একতা সুপার মার্কেটের স্বঘোষিত সভাপতি সুরুজ মিয়াকে বহিষ্কার করে তদস্থলে যোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি করে নতুন কমিটি গঠণের নির্দেশ দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরান হাবীব।
গত ১৬ জুন মার্কেটের সদস্য আমিনুল হক গং এর অভিযোগ ২নং সূত্র মূলে গঠিত তদন্ত দল সরেজমিনে যাচাই করে গত ১৪ জুন বর্ণিত সমিতির বিষয়ে ৫ দফা মন্তব্য/ সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশ গুলোর ৫নং আলোচ্য বিষয়টি মোতাবেক সমবায় সমিতি আইন ২০০১(সংশোধিত ২০০২ ও ২০১৩) এর ২২(১) ধারা মোতাবেক আগামী ১০ জুন মধ্যে জনাব মোঃ সুরুজ মিয়াকে অপসারণ পূর্বক তদস্থলে অন্য যোগ্য ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়। যার স্বারক নাম্বার ৪৭.৬১.৬৭০০.০০০.৩৩.৯১৯.২০০০.১০২৬(৩)।
এদিকে স্বঘোষিত সভাপতি অত্যাচারী সুরুজ মিয়াকে বহিষ্কারের নির্দেশের কথা শুনে মদনপুর একতা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ও এলাকাবাসী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। অনেকে স্বৈরাচার সুরুজ মিয়ার কবল থেকে রক্ষা পেয়ে মিষ্টি বিতরণ করেছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
দোকান মালিকরা জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত সমবায় সমিতির আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করে জোরপূর্বক সভাপতি পদে থেকে মার্কেটের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন সুরুজ মিয়া।
তাছাড়া অনেক দোকান মালিককে জোরপূর্বক মারদর করে দোকানের ভাড়া ও অগ্রীম টাকা নিজে নিয়ে নিচ্ছে বছরের পর বছর।
এদিকে সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে দ্রুত সুরুজ মিয়াকে বহিষ্কার করে নতুন যোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি করে সর্বজন স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে যেনো কোন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় এবং বহিষ্কৃত সুরুজ মিয়া ও তার বাহিনী যাতে করে কোন ব্যবসায়ীকে ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন একতা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।তারা দেশের প্রচলিত নিয়ম ও সমবায় সমিতি আইন অনুযায়ী ব্যবসায় পরিচালনা করে দেশের উন্নয়ণে ভূমিকা রাখতে চায়।