বন্দরে মদনগঞ্জ ট্রলারঘাটে চলছে যাত্রী সেবার নামে চরম অরাজকতা। ঘাটে নেই যাত্রী ছাউনী, নেই যাত্রী ওঠানামায় জেটি, নেই যাত্রী পারাপারে সার্বক্ষণিক ট্রলার। ব্যাপক অব্যবস্থাপনার মাঝেও আদায় করা হচ্ছে ইচ্ছামাফিক টোল। ২ টাকার পরিবর্তে এ খেয়াঘাটে জনপ্রতি নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা করে। প্রতিবাদ করলেই ইজারাদার আলামিন, সনি, মাসুদ শামীমগংদের লোকজনের মারধরের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, মদনগঞ্জ ট্রলারঘাটটি বিআইডব্লিটিএ আওতাভূক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট। বন্দরের মদনগঞ্জ, ফরাজিকান্দা, শান্তিনগর, মাহামুদনগর, বেপারীপাড়া, আলীনগর, ঘারমোড়াসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে নদী পার হন। যাত্রীদের বেশীর ভাগ গার্মেন্টস কর্মী- হুসিয়ারী শ্রমিক ।
এ ব্যাপারে খেয়া পারাপারের যাত্রী রিপন জানান, যাত্রী সেবা বলতে এখানে কিছুই নেই। পশ্চিমপাড় ও পূর্বপাড়ে কোন যাত্রী ছাউনী নেই। বৃষ্টিতে আশ্রয় নেয়ার কোন জায়গা না থাকায় ভিজেই গন্তব্যে রওনা হতে হয়। ছাউনী নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেও এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
মদনগঞ্জ এলাকার আমির জানান, প্রতিদিন দুটি ট্রলারে যাত্রী পারাপারের কথা থাকলেও চলে মাত্র একটি ছোট ট্রলার। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ট্রলারে নদী পারপার হচ্ছেন যাত্রীরা। শুক্রবার এবং সরকারী ছুটির দিনে যাত্রীদের ডাবল ভাড়া গুনতে হয়। নানা অজুহাতে ২ টাকার পরিবর্তে আদায় করা হয় জনপ্রতি ১০ টাকা। প্রতিবাদ করলেই ইজারাদারের লোকেরা যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্জিত করে।
এলাকাবাসী জানান, মদনগঞ্জ ট্রলারঘাট দিয়ে প্রতিদিন যাতায়য়েত করে থাকে প্রায় একহাজার থেকে ১২’শ শ্রমজিবী মানুষ। প্রভাবশালী ইজারাদার থাকেন নদীর পশ্চিম পাড়ে। তার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে যাত্রীরা থাকেন ভীত সন্ত্রস্ত। এ কারণে ইজারাদারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পান না তারা।
এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী যাত্রীরা।