বীরমুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার ঘটনায় আ’লীগ নেতাদের ক্ষোভ

লেখক: Shariful Islam
প্রকাশ: ২ years ago

আমাদের সংগ্রাম ডেস্কঃ বন্দরে আওয়ামীলীগের নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের নেতারা।

শনিবার ১৪ মে সকাল হতে বন্দরের আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা শাহাদাত হোসেনের বাড়িতে গিয়ে সরজমিন দেখেন ও দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বন্দরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দুই দফা সন্ত্রাসী হামলায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও নব গঠিত বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাইসহ কমপক্ষে ৬ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ওই সময় বখাটে সন্ত্রাসীরা বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে প্রায় ২ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ (৭০) তার ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাই (৬০) সামিউল আরাফাত (২৩) বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সাত্তার (৭৩) রত্না বেগম (৪৫) আবিদ (২৬)।

স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

গত ১২ মে বৃহস্পতিবার রাতে ও ১৩ মে শুক্রবার সন্ধায় বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা দক্ষিনপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আহত উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘটনার ওই রাতে সন্ত্রাসী পারভেজ, তারভির ও সুমন প্রধানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা দক্ষিনপাড়া এলাকারমৃত আব্দুল করিম বেপারী ছেলে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাই এর সাথে ফরাজিকান্দা উত্তরপাড়া এলাকার মৃত রাইসুল হকের সন্ত্রাসী ছেলে পারভেজ ও তার ছোট ভাই তারভির এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলছিল।

গত ১২ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাদীর ভাতিজা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সাহাদাত হোসেনের স্ত্রী স্বপ্না বেগম তার অসুস্থ্য ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বিবাদী সন্ত্রাসী পারভেজ ও তার বখাটে ছোট ভাই তানভির বাদী ভাতিজা স্ত্রীকে রাস্তায় দেখে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।

পরে বিষয়টি ভাতিজার স্ত্রী তার স্বামী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাহাদাত হোসেনকে জানায়। পরে সাহাদাত হোসেন এ ঘটনার প্রতিবাদ করে। এতে উল্লেখিত দুই ভাইসহ একই এলাকার নাসির প্রধানের ছেলে সুমন প্রধান, মৃত আহসান উল্ল্যাহ মিয়ার ছেলে রানা, মুজাহিদ মিয়ার ছেলে রাজিব ও আওলাদ হোসেন মিয়ার ছেলে নাহিদ দেশী অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠী সোটা নিয়ে বাদীর বড় ভাই প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ এর উপর অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিদের কাছ থেকে বাদী বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বাদী আব্দুল হাই ও সামিউল আরাফাতকে বেদরকভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।

সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়াও শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী পারভেজের নেতৃত্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরাসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ ও তার ছাট ভাই আব্দুল হাইয়ের বাস ভবনে হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রায় ২ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সাত্তার, রত্না বেগম ও আবিদ রক্তাক্ত জখম হয়।

এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছেল। এ রিপোর্ট খেলা পর্যন্ত এ ঘটনা নিয়ে উল্লেখিত এলাকায় দুই পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার পুলিশ পরদর্শক (তদন্ত) মহসিন গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা অভিযোগ দুইটি তদন্ত করে দেখছি। সে সাথে উভয়কে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকার র্নিদেশ প্রদান করা হয়েছে।

  • বীরমুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার ঘটনায় আ'লীগ নেতাদের ক্ষোভ