আমার মায়ের নির্দেশে আমি জনপ্রতিনিধি হয়েছি। আপনাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। আমি জীবনে অনেক পরিশ্রম করেছি। দায়িত্ব পেয়ে আমি আপনাদের গোলামী করতে পেরেছি। এবং যারা গোলামী করবে তারাই আমাদের সাথে থাকবে। সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জানিনা আমি নির্বাচনে দাড়াবো কিনা। তবে আমার জনগন যদি চায় তবে আমি নির্বাচনে দাড়াবো।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের চেয়ারম্যান হিসেবে এক যুগ পূরনে, উন্নয়ন শীর্ষক সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের সুবাতাস বইছে। কিন্তু বিএনপি-জামাতের আগুন সন্ত্রাসীরা এই উন্নয়ণকে ধ্বংস করতে খেলায় মেতে উঠেছে। ডাল নাই তলোয়ার নেই নিধিরাম সরদার। কতক্ষন পর পর টেলিভিশনে বলে দেয় আগামী দুইদিন অবরোধ। কিসের অবরোধ,কোথায় অবরোধ। অবরোধ একটাই আমার বাচ্চাদেরকে লেখাপড়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। প্রত্যেকটা মাকে দু:চিন্তায় ভূগতে হচ্ছে বাচ্চাদের নিয়ে। সাহস থাকলে আসুন নির্বাচনের মাধ্যমে মোকাবিলা করি। জনগন যদি আপনাদের ভালবাসে তাহলে আপনাদের আমরাই সরকার বানাবো। নির্বাচন হবে। সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই নির্বাচন হবে। আর দুই একদিনের মধ্যেই হয়ত তফছিল ঘোষনা করা হবে তবে আপনাদের প্রতি আমার একটা অনুরোধ রইল আপনারা সারা বাংলাদেশে ঘুওে দেখেন বর্তমান সরকারের উন্নয়নটা কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে। এই ১৫বছরের যে উন্নয়ন এই উন্নয়ন কি পূর্বে কখনো হয়েছিল। এই মঞ্চে দুইজন মানুষ আছি আমরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে দেশ মাতৃকার টানে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীণ করেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল কোন দলের জন্য নয়। বাঙ্গালীর মুক্তির জন্যই তার জন্ম হয়েছে। তাই আসুন এই দেশকে ভালবেসে সকলে মিলেমিশে কাজ করি আর প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌছে দেই।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল,বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত ই খুদা,বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ,সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা, বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ আবু বকর ছিদ্দিক,মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক ও ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এমএ সালাম, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।