নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বন্দর কেন্দ্রীয় কবরস্থানের গাছ কেটে নিয়ে গেছে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি শনিবার ফেসবুকে প্রকাশ করায় রানা খানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে জনৈক কবির ও বাপ্পি।
সূত্র জানায়, বন্দর বায়তুল আমান জামে মসজিদের অর্থ সম্পাদক ও বন্দরস্থান সংলগ্ন বাড়ির মালিক ইসমাঈল খান রানা গত শনিবার দুপুরে করবস্থানের গাছগুলো কেটে নেওয়ার ফেসবুক লাইভ প্রকাশ ও প্রচার করেন। এতে দুবৃত্তরা ফুসে উঠে। গাছ ক্রয় করেছেন বলে দাবী করেন বাপ্পি। সে রাজবাড়ী, বন্দর এলাকার শফি মিয়ার ছেলে।
বাপ্পী জানায়, সে কবরস্থান রোড এলাকার (হালে উইলসন রোড) কবির প্রধানের কাছ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় ৩’টি গাছ ক্রয় করেছে। কবির প্রধান টাকা বুঝে নিয়ে গাছ কেটে নিতে বলেছে।
কে এই কবির প্রধানঃ
কবরস্থান রোড এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে কবির প্রধান। কবিরের গরুর খামার ছিল। গরুর জন্য ঘাস কবরস্থান থেকে সংগ্রহ করত। গরু পেলেই জীবিকা নির্বাহ করত। কয়েক বছর ডিশ ব্যবসায়ি শ্যামলের দোকানে সময় কাটাতো। পরবর্তীতে কাজী জহিরুল ইসলাম জহিরের ছত্রছায়ায় দেখা গেছে।
স্থানীয় কবরস্থান ও মসজিদে কিছু সময় দিলেও পিছনে করে বিশেষ ব্যবসা বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়।
মহিলা কাউন্সিলর শাওন অংকন খান বলেন, আমি সকালে কবরস্থানে গিয়েছি। ঘটনার সত্যতা মিলেছে। কবরস্থানে বড় বড় গাছ যে বিক্রি করেছে এবং ক্রয় করেছে তাদের বিচার চাই। আগামীকাল নাসিক মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানান।
স্থানীয় মসজিদ ও কবরস্থান ব্যবস্থাপনা কমিটি কেউ গাছ বিক্রি বা কাটার অনুমতি কাউকে দেননি বলে একাধিক কর্মকর্তা জানান। বন্দর কেন্দ্রীয় কবরস্থানটি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত এটা দেখভালের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। স্থানীয় বাসিন্দারা সিটি কর্পোরেশন ও বন্দর থানা অফিসার্স ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহার আশু পদক্ষেপ কামনা করেন।