বন্দর উপজেলা আ’লীগের কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের স্ট্যাটার্স

লেখক: Shariful Islam
প্রকাশ: ২ years ago

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সদ্য ঘোষিত বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাকিল হাসান ভূইয়ার স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

মদনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল হাসান ভূইয়া তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে ৪ দিন পূর্বে একটি বাস্তবমুখি স্ট্যাটাস দেন।

পাঠকসহ রাজনৈতিক নেতাদের উদ্যােশে হুবুহুব তুলে ধরা হলঃ বন্দর থানা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি দীর্ঘ সময় পর গঠিত। উপজেলা আওয়ামীলীগ  সভাপতি বীরমুক্তি যোদ্ধা জননন্দিত নেতা আলহাজ্ব এম এ রশিদ ভাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা

আরও খুশি হতাম যদি তিনি একক শক্ত হাতে পুরো কমিটি ঘোষনা করতে পারতেন। তিনি একক ভাবে পারেন নাই বিদায় এত দেড়িতে কমিটির ঘোষণা  আসল।

ফেক্ট অদৃশ্য হাই কমান্ড
আমি সেই হাইকামান্ডদের বলছি
জন্মের পর যখন থেকে রাজনীতি নামটি বুজতে শুরু করছি  তখন থেকেই দেখেছি আমার দাদা আওয়ামীলীগ করত, আমার পিতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ  এর সহ সভাপতি,  আমার দুই ভাই আওয়ামীলীগ  করে সেই থেকে আমি নিজেও আওয়ামীলীগ কে সমর্থন করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করি জয় বংলা জয় বঙ্গবন্ধু  স্লোগান দেই। আমি ১৭ বছর যাবৎ মদনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের  নেতৃত্ব  দিয়ে আসছি। ১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত ।   আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে রাজপথে ছিলাম অত্যাচারিত নিপিড়ীত  হয়েছি। আরজু রহমান ভূঁইয়া, আব্দুর রাজ্জাক, নাজিম উদ্দীন নাজিম ভাই (সেঃ) মহিদ ভূঁইয়া,( ভাঃ সঃ), হাবিবুর রহমান, তাজু ল মেম্বার, এম এ রউফ, মাহবুবু ভুঁইয়া, তাওলাদ হোসেন, মোতালিব মিয়া, শুক্কুর আালি, গহন আলি, মুসলিম প্রদান, ওবায়দুল মাস্টার, সফিউল্লাহ ভাই, হাজি কাসেম, শেখ ফরিদ মেম্বার, আমানউল্লাহ (সঃ যুবলীগ), জাবেদ ভুইঁয়া (সাঃস), ইকবাল ভুঁইয়া, এফ আার দেলোয়ার, রফিকুল ইসলাম, সাইদূর জুয়েল, এডঃ মামুন, কায়েস আবুল হোসেন, সেঃ বন্দর থানা ছাত্র লীগ), গাজী সালাম (চেয়ারম্যান) সিরাজুল( সেঃ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ) সোহেল মাস্টার, রাসেল মিয়া, সহ আরও অনেকে  যারা আমরা সম্মেলিত ভাবে দলের দুঃসময়ে  সহোযোদ্বা হয়ে রাজপথে  মিছিল মিটিং সংগঠিত করেছি মৃত্যু অকুতোভয়ি হয়ে।
আমাদের সাথে অন্যান্য ইউনিয়ন এর নেতা কর্মিরা ও যোগ দিত তখন বিশেষ করে ধামগর ও মদনপুর এর আওয়ামী লীগ ছিল অগ্রভাগে। তখন থেকেই আমরা একে অপর কে চিনি কিন্তু পরিতাপের বিষয়  বর্তমান থানা কমিটিতে  মদন পুর ও ধামঘড়ের এমন কিছু  নেতা কর্মির নাম দেখলাম  যাদের কখোনো আওয়ামীলীগ করতে ত দেখিইনি বরং আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ও দেখেছি তারা বি এন পি, হেফাজত, ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি তে সম্পৃক্ত ছিল।  তারা হাইব্রিড। কিন্তু তারা কি কারনে দলের এত গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণ  পদ পায় ? আমাদের দলে কি লোকের অভাব পরে গেছে ?  আমার নেতৃবর্গের কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা  কি এই সকল মুখোশ দারিদের  কখোন আওয়ামিলীগ এর  সাথে সম্পৃক্ততা দেখেছেন ?  সল্প সময়ে বড় নেতাদের চামচামি  করে যদি পদ পায় তাহলে কি ঐ সকল নেতারা দলিয় বিসৃন্খলা সৃষ্টির জন্য কি দায়ী নয়?
মাননীয় হাইকমান্ড  মহোদয় গন দলের দূরদিনে এক শেখহাসিনার কমান্ড ছিল। আর দলের ত্যাগিরা সেই কমান্ডে যাপিয়ে পরত। তখন আপনারা জেলার বা কেন্দ্রের কে কোথায় ছিলেন নিজেও জানেন না।

আপনারা বড় নেতা মানি।  কিন্তু আজ এই সকল হাইব্রিড দের মাঝে ত্যাগিরা যে তলিয়ে গেল দলের পরবর্তী দূঃসময়ে কি এই হাইব্রিড দের পাবেন? পাবেন ত কতটা পাবেন? কিন্তু ত্যাগিরা কিন্তু মনে কস্ট থাকা সত্যেও বসে থাকবেনা দলের জন্য এগিয় আসবে এ জন্যই তারা ত্যাগি।

আপনারা একবার ও কি চিন্তা করলেন না যে খন্দকার মোশতাকরা দলের ই ত অনুগত ছিল।
দূরদিনে যারা প্রতিটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কে আগলে রাখল তাদের সাথে একটু বুজা পরা করলে হত  না ?

আরে ভাই  যাদের পদ দিলেন একবার খোজ নিয়ে দেখুন তারা জীবনে কখনো ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, বা সেচ্ছাসেবকলীগ, আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রেম কোন সহোযোগি সংগঠনের সাথে জরিত ছিল কিনা?

জ্বী খুজে পাবেন আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর নাম জরিয়ে গজিয়ে ওঠা কিছু ভুঁইফোড় সুবিধা বাদি সংগঠনের সাথে জড়িত দু একটা নাম। তাহলে আপনারা কোন স্বার্থে এদের কে দলে বিরালেন ?  আর একটা ওয়ান এলিভেন্থ এর নেতৃত্বে নেপথ্যে থাকা মাইনাস ২ ফর্মুলার নেতাদের মত সুবিধা  পাওয়ার জন্য ?
আমি বলছি আমার নেত্রী  শেখ হাসিনা
তিনি ছার দেন ছেরে দেন না।
আমি নেতাদের নয় নীতিহিন দের ধিক্কার জানাচ্ছি।

  • বন্দর উপজেলা আ'লীগের কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের স্ট্যাটার্স