বন্দরে হোন্ডা বাহিনীর তান্ডবলীলা ও মহড়ায় আতংকে এলাকাবাসী

লেখক: আমাদের সংগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশ: ২ years ago

ওরে কইয়া দিবেন ভাল হয়ে যেতে, গুন্ডামী একেবারে বইরা দিব। খাইয়া দিব লাশ খুঁজে পাবি না সহ নানাভাবে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

৬ জুন সোববার রাত ৯ টার দিকে শহর থেকে সনেট, মনির, সোহাগ, আসিক, অলিদের নের্তৃত্বে হোন্ডা বাহিনী নাসিক ২৪ নং ওর্য়াডের বন্দরের কাইতাখালী, নোয়াদ্দা এলাকায় মহড়া দিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে।

আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বন্দরে হোন্ডা বাহিনীর সংবাদ প্রকাশে এ বাহিনী হঠাৎ ১০/১২ টি হোন্ডা নিয়ে আসে। শহর হতে হোন্ডা নিয়ে নবীগঞ্জ ফেরীঘাট দিয়ে পার হয়ে কাইতাখালী ও নোয়াদ্দা এলাকায় মহড়া দেয়। হঠাৎ এত হোন্ডা দেখে এলাকার লোকজন হতভম্ব হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ৭ জুন রাতে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তের প্রয়োজনে নামগুলো প্রকাশ করা যায়নি।

সূত্র মতে, গত ৬ জুন সোমবার নারীকে হত্যার হুমকির ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বন্দরে হোন্ডা বাহিনীর প্রধান সোহান, আনিল, সজীব, অনিক,জুম্মান, সোহেল বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শহরে হোন্ডা বাহিনীর মহড়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বন্দরে সোয়ান, আনিল বাহিনীর নানামুখী তান্ডবে দিশেহারা নবীগঞ্জ, কাইতাখালী, নোয়াদ্দা, কদমতলীসহ ৮/১০ টি এলাকার লোকজন। জুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ, অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগসহ নানামুখী অবৈধ কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে। বন্দরের কাইতাখালী এলাকায় অবস্থিত “রাজ ” গার্মন্টেসের জুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোয়ান, আনিল, মাহবুবুল সিকদার এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করেন। ড্রেজার দিয়ে নীরহ মানুষের ঘর ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ অহরহ। বন্দরের যেকোন জায়গায় গিয়ে সাধারণ লোক থেকে শুরু করে সর্বশ্রেণীর লোকদের হুমকি দেয় এ বলে যে হোন্ডাটা কার জানেন না। আজমেরী ওসমান ভাইজানের হোন্ডা। কোন কথা হবে না। নারীকে হত্যার হুমকীর অভিযোগ, শাহনেওয়াজকে একেবারে খাইয়া ফেলার প্রকাশ্য হুমকিী দেয়। কাইতাখালী এলাকায় এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত ১ টা হতে ভোর ৪টা পর্যন্ত সোয়ান বাহিনী স্থানীয় শাহনেওয়াজ মিয়ার সাথে দফায় দফায় হামলা চালায়। নিজেরা হামলা চালিয়ে থানা পুলিশকে দ্রুত লৌহিয়া পুল এলাকায় যেতে বলে। থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে উল্টো চিত্র। এস আই রফিকুল ইসলাম এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, সোয়ান, আনিলরা হোন্ডা বাহিনীর হোতা। সোয়ানকে প্রতিদিন রাতে ৪/৫ টি হোন্ডা এসে নামিয়ে দিয়ে যায়। বন্দরে শক্রতার জের ধরে রুনা আক্তার নামের এক নারীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

গত (৩)জুন তাকে তার বাড়িতে গিয়ে হেনস্তা ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগী রুনা আক্তার বন্দর উপজেলা বন্দর ইউনিয়ন কদম তলী এলাকার মোঃআলমগীরের স্ত্রী। এ ব্যাপারে রুনা আক্তার বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্তরা হলেন, মোঃ সোহান(৩০), কাইতাখালি এলাকার মাহবুল শিকদারের ছেলে, আনিল শিকদারসহ (৩২) অঙ্গাতনামা আরও কয়েকজন।

রুনা আক্তার জানায়- আমার স্বামী দুবাই প্রবাশে থাকতেই পূর্বশত্রুতা জের ধরে গত ৩ রা, জুন আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় তারা আমার নিজ বসত বাড়িতে পৌঁছে আমার ঘরবাড়ি ভাংচুর ও আমাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। তারা বাড়িতে পৌঁছে আমাকে বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তারা বাড়ি দখল করার হুমকি প্রদান করে।আমার বাড়ি নির্মাণ করার ৩শ’ কেজি রড আসামিরা নিয়ে যায়। আমার মা’কে মারধর করে সে-ই সময় আমি চিৎকার করলে আমাকে ও আমার মা’কে অকথ্য গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। প্রয়াত জননন্দীত সাংসদ নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে হোন্ডা বাহিনীর তান্ডবলীলা ও মহড়ায় আতংকে এলাকাবাসী। হোন্ডা বাহিনী নিয়ন্ত্রণসহ ওসমান পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করার মিশনে চক্রটি কাজ করছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান, জেলা পুলিশ সুপারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

  • বন্দরে হোন্ডা বাহিনীর তান্ডবলীলা ও মহড়ায় আতংকে এলাকাবাসী