বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে প্রবাসী বসত বাড়িতে চুরি করে পালানো সময় স্থানীয় জনতা চোরাইকৃত স্বার্ণালংকারসহ আল-আমিন (২৪) নামে এক চোরকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে। ওই সময় এলাকাবাসী উপস্থিতি টের পেয়ে সোহেল (২৬) ও উজ্জল (২৩) নামে আরো দুই চোর কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পুলিশ এলাকাবাসী সহয়তা আটককৃত চোরের কাছ থেকে ২টি স্বর্ণের রুলি ও ১টি নোকিয়া বাটান সেট উদ্ধার করে। আটককৃত চোর আল আমিন বন্দর থানার উত্তর বেপারী পাড়া এলাকার মোহন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। পলাতক চোররা হলো বন্দর থানার উত্তর বেপারী পাড়া এলাকার কালাম মিয়ার ছেলে উজ্জল ও সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকার অপর চোর সোহেল।
১৭ এপ্রিল রোববার রাত আড়াই টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের উত্তর বেপারী পাড়া এলাকায় এ চুরি ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে প্রবাসী ছোট ভাই মোঃ আলী বাদী হয়ে আটককৃত চোর আল আমিনসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৯(৪)২২ ধারা- ৪৫৭/ ৩৮০/ ৪১১ পেনাল কোড।
জানা গেছে, গত ৩ দিন পূর্বে বন্দর থানার সোনাকান্দাস্থ উত্তর বেপারী পাড়া এলাকার প্রবাসী আব্দুল হক মিয়ার স্ত্রী মুনা বেগম তার পিত্রালয় রাজবাড়ী এলাকায় বেড়াতে আসে। ওই সুযোগে ১৭ এপ্রিল রোববার গভীর রাতে উল্লেখিত তিন চোর প্রবাসী বসত বাড়ি রান্নার ঘরের এডজাসটার ফ্যান স্থাপন করার স্থান দিয়ে কৌশলে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে চোরের দল আলমারি ভেঙ্গে ২টি স্বর্ণের রুলি, ৮ আনা ওজনের এক জোড়া কানের দুল, ৮ আনা ওজনের মাথার টিকলি, ও ১টি নোকিয়া মোবাইল সেট চুরি পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা আল-আমিন নামে এক চোরকে আটক করে বাকি দুই চোর কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ আটককৃত চোর আল আমিনের দেহ তল্লাশী চালিয়ে এক জোড়া হাতের স্বর্ণে রুলি ও একটি নোকিয়া বাটান সেট উদ্ধার করে।
মামলার বাদী গনমাধ্যমকে জানায়, চোরের দল প্রায় ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫’শ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। পুলিশ আটককৃত চোর আল আমিনের কাছ থেকে ৯৯ হাজার ৫’শ টাকা মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকতার্ এসআই আব্দুল বারেক হাওলাদার গনমাধ্যমে জানান, চুরি ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় আল আমিন নামে এক চোরকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি চোরদের গ্রেপ্তারসহ চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।