বন্দর প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ৮ম শ্রেনীর রেজিষ্টেশন ফি বাবদ ২৭০ টাকা এবং ছবি বাবদ ১০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু পার্শবর্তি স্কুল হাজী সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে একই শ্রেনীর রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ নেয়া হচ্ছে ১২০ টাকা আর ছবির জন্য কোন টাকা নেয়া হয়না। একই এলাকায় ২টি স্কুলে ২ রকম ব্যবস্থায় অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
অভিভাকরা অভিযোগ করে বলেন, নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৩ বছর যাবত শিক্ষার্থীদের বেতন রশিদ, রেজিষ্ট্রেশন রশিদ, পরীক্ষার ফি’র রশিদ বা ফর্ম ফিলাপের কোন রশিদ দেয়া হয় না। এতে করে অনেক শিক্ষার্থীকে একাধিক বার বেতন দিতে হচ্ছে। এতে করে স্কুলের অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকে তার সন্তানদের অন্য স্কুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
অভিভাবকরা বলেন, স্কুলে চরম ভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। দুর্নীতি না করলে কেন তারা বেতনের রশিদ দেন না। এ জন্য স্কুল কমিটির উপর চরম ক্ষোভ অভিভাবক মহলের।
এ ব্যপারে স্কুলের শিক্ষিকা ও শিক্ষক প্রতিনিধি আসমাতুনন্নাহার জানান, আমাদের বিভিন্ন খরচের আছে বিধায় আমরা ৮ম শ্রেনীর রেজিষ্টেশন বাবদ ২৭০ টাকা এবং ছবির জন্য অতিরিক্ত ১০০ টাকা মোট ৩৭০ টাকা নিচ্চি। কিন্তু পার্শবর্তি হাজী সিরাজউদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে মাত্র ১২০ টাকা নেয়া হচ্ছে আপনার কেন বেশী নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বাসে আছি পরে কথা বলব।
এ ব্যপারে হাজী সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের হেডক্লার্ক শাহআলম জানান, তাদের স্কুলে সরকারি ফি’সহ সকল খরচ বাবদ মাত্র ১২০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে তাও রশিদের মাধ্যমে।
এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুর রহমান বলেন, এ বিষয়টি স্কুল কমিটির সভাপতি জানেন। আমারা সরকারি ফির অধিক নেয়ার পক্ষে নেই। এ ব্যপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, এ স্কুলের বিষয়ে অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। আমাদের শিখিত দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যপারে নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যপারে নাবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলকে ফোন দিলে তিনি ইফতার পার্টিতে থাকায় কথা বলেননি। এদিকে অভিভাবদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা স্থানীয় এমপি, ডিসিসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।