নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষের সীমাহীন দুর্নীতি আর সেচ্ছাচারীতার কারণে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকেরা। ঘুষ ছাড়া কোনো সংযোগ বা মিটার স্থাপন করা হয়না।স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটি এখন অনিয়ম আর দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় গ্রাহকদের।
মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বন্দর জোনাল অফিসে গিয়ে বেশ কয়েকজন গ্রাহক কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
ভুক্তভোগী গ্রাহক আব্দুল মতিন ও এসএম রতন পাটোয়ারী সহ একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেন,পল্লী বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতন না করে কর্তৃপক্ষ মিটার স্থাপন করায় চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। তাদের ইচ্ছেমতো লেখা বিলে অনেক গড়মিল। তাদের মিটার রিডারেরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে প্রকৃত বিল কম লিখে দেয়।পরবর্তীতে সেই বাড়তি বিলের বোঝা গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ চালিত অটো রিক্সা গ্যারেজে চোরাই সংযোগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন খোদ ডিজিএম শ,ম মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুটি ও মিটার স্থাপনের নামে ঠিকাদেরদের মাধ্যমে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এজিএম (কম) আশিকুর রহমান ও পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
এমন অভিযোগ করে ওই সব দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করে আদর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।
এলাকাবাসী জানায়, দেশের উন্নয়নে সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ সেক্টরে অনেক সফলতা অর্জন করেছে।কিন্তু বন্দর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র ডিজিএম মিজানের মতো অসাধু কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে সরকারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।অবিলম্বে এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অফিসার জানান,নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে কয়েকবার প্রথম স্থান অর্জন করেছিলো বন্দর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।কিন্তু এ বছর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি আর সেচ্ছাচারীতার অভিযোগ থাকায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় কোন স্থান পায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও ) বিএম কুদরত এ খুদা বলেন, কোনো অজুহাতে সন্মানিত গ্রাহকদের হয়রানি করা যাবে না। যেকোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স। কোন গ্রাহক যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেন,আর যদি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া যায়। তাহলে অবশ্যই অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয় জানতে চাইলে ডিজিএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে(০১৭৬৯৪০০২১৬) কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে চান না এবং যা খুশি লেখেন বলে ফোন কেটে দেন।