বন্দরে কেয়ারটেকার আজাদের হাতে জিম্মি বাড়ির মালিক কুতুবউদ্দিন খান

লেখক: আমাদের সংগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশ: ১ বছর আগে

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডস্থ লেজারার্স আবাসিক এলাকার বাড়ির কেয়ারটেয়ার কর্তৃক দীর্ঘ বৎসরে বাড়িভাড়া উত্তোলন করে প্রায় ৬০/৬৫ লাখ টাকা আত্নসাৎ  করার অভিযোগ উঠেছে।

প্রকৃত মালিক একেএম কুতুবউদ্দিন খান বাড়ি বিক্রি করবে বলে কেয়ার টেকারকে তার অফিস ছেড়ে দিতে বললে কেয়ারটেকার নানা তাল বাহানা করে। খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।

সুত্রমতে,গঙ্গাকুল “ম” খন্ডস্থিত আর এস ৩নং দাগে মোট ৭৭শতাংশ ভূমি হতে ৩২৩৭৩২৩৮নং দুটি সাবকবলা দলিলে নাসিক ২২নং ওয়ার্ডস্থ মৃত সদরউদ্দিন খানের ছেলে একেএম কুতুবউদ্দিন খান ঢাকার শ্যামপুর থানার বি/১১ আরসিম গেইট ফরিদাবাদ এলাকার আলহ্জব মোহাম্মদ জুলহাস মিয়ার ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে দুই দলিলমুলে মোট ৯শতাংশ ভূমি খরিদ করে ২/১০/২০০৩ সালে। উক্ত ভূমি একেএম কুতুবউদ্দিন খানের নামে নামজারি নং ২৪৩৭/২০০৫, তাং-২২/১২/০৫ করা হয়। এবং নাসিকের এক জরিপে উক্ত ভূমি আলবারাকা ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রোঃ কুতুবউদ্দিন খান), হোল্ডিং নং ৮২৮,উইলসন রোড,২২নং ওয়ার্ড, লেজারার্স আবাসিক এলাকা লিপিবদ্ধ করা হয়। যে ভূমির বিদ্যুৎবিল কুতুবউদ্দিন খানের নামে আসে। তিনি ঢাকায় বসবাস করার কারনে উক্ত সম্পত্তী দেখাশুনা করার জন্য লেজারার্স আবাসিক এলাকার বদরউদ্দিনের ছেলে আজাদ রহমানকে কেয়ারটেকার হিসেবে নিয়োগ করেন। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে ৫টি ভাড়াটিয়ার ২বৎসর মেয়াদী চুক্তিনামায় একেএম কুতুবউদ্দিন খানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কেয়ারটেকার আজাদ রহমান।

পরবর্তীতে ভাড়াটিয়াদের চুক্তিনামা মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে কেয়ারটেকার আজাদ রহমান নিজেই একেএম কুতুবউদ্দিন খান সেজে চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেন।

এদিকে কেয়ারটেয়ার নিজস্ব কাজের জন্য একটা অফিসও গড়ে তুলেন। বাড়িভাড়ার টাকা সে দীর্ঘ সময় ধরে উত্তোলন করে প্রায় ৬০/৬৫লাখ টাকা নিজেই আত্বসাৎ করে। বাড়ি ভাড়ার টাকা মালিক কর্তৃপক্ষ চাইলে কেয়ারটেকার বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকিসহ স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় লোকের মাধ্যমে হয়রানি করে। একপর্যায়ে বাড়ির মালিক উক্ত বাড়িটি বিক্রি করার কথা বলে কেয়ারটেয়ারকে অফিস খালি করতে বলে। খালি করে দেয়ার জন্য কেয়ারটেকার কিছুদিন সময় নেন। পরে রাতের আধারে কেয়ারটেকার তার অফিসের মালামাল নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং কুতুবউদ্দিন খানের লোকজনেরা তার অফিসের মালামাল নিয়ে গেছে বলে অপপ্রচার করে। পাশাপাশি মন্ত্রী, এমপি, ডিসি, এসপি, সচিবের সাথে কেয়ারটেকারের সখ্যতা রয়েছে বলে দম্ভোক্তি করে বলে বেড়ায় তাকে কেউ কিছুই করতে পারবেনা। সে নিজেকে বড় বড় সরকারী প্রতিষ্ঠানের উধ্বর্তন কর্মকর্তার আত্নীয় বলে জাহির করে। এবং নিজেকে একজন বিজ্ঞানী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সংস্থার কাছে নানা সুবিধা আদায় করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, কেয়ারটেকার আজাদ রহমান সক্রীয়ভাবে স্বাধীণতা বিরোধী একজন জামায়াত কর্মী। তার উচ্চশিক্ষার সনদ না থাকলেও সে নিজেকে বিজ্ঞানী পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। সে দীর্ঘদিন ধরে একেএম কুতুবউদ্দিন খানের কেয়ারকেয়ার হিসেবে কর্মরত ছিল বলে সবাই জানে। এখন সে নিজেই মালিকের সাথে নানা প্রতারনা করছে বলে শুনা যাচ্ছে। আসলে কেয়ারটেকার আজাদ রহমান ধূর্ত প্রকৃতির লোক। তার দ্বারা সব কিছুই করা সম্ভব।

এ ব্যাপারে কেয়ারটেকার আজাদ রহমানের প্রতারনার হাত থেকে পরিত্রান পেতে জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে বাড়ির প্রকৃত মালিক একেএম কুতুবউদ্দিন খান ও তার পরিবার।

  • বন্দরে কেয়ারটেকার আজাদের হাতে জিম্মি বাড়ির মালিক কুতুবউদ্দিন খান