রাজনীতি মানে এখন অনেক জায়গায় ব্যবসা হয়ে গেছে। ইনকাম টেক্সে যেখানে ১০ লাখ টাকার বেশি দেখি না। এন বি আর কি করে, দূদক নামের একটি বস্তু আছে তাও আমি চিনি না উল্লেখ্য করে প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, ভাল ভাল লোক বসা সেখানে। কো তদন্ততো দেখি না। নারায়নগঞ্জের চিত্র পাল্টিয়ে দিতে পারে ছাত্র সমাজ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান এমপি নানা বিষয়ে গঠনমূলক জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন। যে বক্তব্যে দেশব্যাপী আলোচিত হয়।
বিএনপির নেতা ফখরুল সাহেবদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার লজ্জা লাগে বিএনপির নেত্রী কি এমন কোন চিন্তা করেননি আমার অবর্তমানে দল চলবে কিভাবে। আপনার এজটা মানুষও নাই, যখন আমি খালেদা জিয়া জেলে যাব তখন দলের হাল ধরবেন। তবে আজকের এ দিনটি লিখে রাখেন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না।আমার চ্যালেজ রইল। এত দিন খালেদা জিয়া বন্দুক দিয়ে আমাদের মারতেন, এখন খালেদা জিয়ার নরম কাঁধে কিছু তথাকথিত সুশীল সমাজ চিন্তা করলো। এইতো সুযোগ, ম্যাডাম তুমি জেল খানায়। খালেদা জিয়ার কাঁধে বন্দুক রেখে শেখ হাসিনাকে গুলি করবে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, খেলা শুরু হবে তা আগেই বলেছি। যে খেলা শুরু হয়েছে। এ খেলার জবাব দেয়ার ক্ষমতা শামীম ওসমান জানে। শামীম ওসমান বলেন, এক সময় উনারা এক হবে, সুশীল, কুশীল, ইতর, বদমাস সব এক হবে। ওদের টার্গেট শেখ হাসিনা। কারন শেখ হাসিনা থাকলে সফল হবে না। লক্ষ লক্ষ লোক নিয়ে রাজপথে নামতে সময়ের ব্যাপার। ৭৯ সাল সেকেন্ড ইয়ারা পরি, শোনলাম কোন নেতার কাছ থেকে শুনলাম জিয়াউর রহমান আসবে নারায়ণগঞ্জে। এই জিয়াউর রহমান সেই জিয়া, যে জাতির জনকের হত্যার নীল নকশা কারী। আমরা বললাম তাই। জিয়াউর রহমান ঢাকা- নারায়নগঞ্জ পুরান সড়ক দিয়ে আসছে। ৭ টি ছেলে দাঁড়িয়ে গেলাম তোলারাম কলেজের সামনে। গাড়ী দেখে শ্লোগান দিলাম জেনারেল জিয়া, জেনারেল জিয়া জিদ্ধাবাদ, জিদ্ধাবাদ। তিনি মনে করলেন আমার সমর্থক। তখন শ্লোগান দিলাম খুনি জিয়ার গদীতে আগুন জ্বালাও এক সাথে।
অন্য এক অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান বলেন, ১৭ দিন এলাকায় ছিলাম, প্রকাশ্য, লুকিয়ে না। শুধু আপাকে( শেখ হাসিনা) জিজ্ঞাসা করলাম গ্রেফতার হব। আপা বললো না। তখন বললাম আপা যেখানে না করছে, সেখানে এমন কোন শক্তি নেই শামীম ওসমানকে গ্রেফতার করবে। আপ(নেত্রী) মানা করছে তাহলে কে গ্রেফতার করবে। ১৭ দিন এলাকায় ছিলাম।
ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে প্রভাবশালী আলোচিত -সমালোচিত সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, আরে বাবারে যারা ফেসবুক – টেসবুকে স্ট্যাটাস দেও তা বুঝে দিও। আমরা কিন্তু ছোট বেলার খেলোয়াড়। নানা কারনে আমাকে টার্গেট করে। আমি চিন্তা করি আমাকে কেন টার্গেট। লংমার্চ, নিষিদ্ধ পল্লী, গোলাম আজমকে নিষিদ্ধ করার পর আমাকে টার্গেট করা হল। ১/১১ এ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল বারী আমাকে ফোন দিয়ে দেশে আসার প্রস্তাব দেয়। তা নাখোশ করে কঠোর জবাব দেন। বলেন এখনো স্বপ্ন দেখেন। তখন আমি শামীম ওসমান বলেছিলাম আমরা রাজনীতি করি, স্বপ্ন দেখি না। কেউ যদি জিজ্ঞেস করে ২ আর ২ কত হয়। তখন কেউ বলে ৪। আর আমরা ২ আর ২ =২২ মনে করি৷ কারন আমরা রাজনীতি করি অনেক কিছু আগে থেকে দেখি যে কি হয়।
শামীম ওসমান এমপি বলেছিলেন, খালেদা জিয়া আমাকে খুব বেশি পছন্দ করতো। যার কারনে ৬ বছর দেশের বাহিরে থাকতে হয়েছে। আমি রাজনীতি করি এর অপরাধে আমার মজো ভাই সেলিম ওসমানের ৩শ গরুর বান ব্লেট দিয়ে কেটে দিয়েছে।
ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জ নিয়ে খেইলেন না প্রশাসনকে নিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমার কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ / মামলা দিয়ে দমাতে পারবেন না। আমাকে এগুলো কইরেন না। ও কারো বিরুদ্ধে এগুলো করবে আমি শামীম ওসমান বসে থাকবো না। কেউ খেলতে চাইলে বলি, প্লিজ ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জ নিয়ে খেলার চেষ্টা কইরেন না। তাহলে কিন্তু নারায়নগঞ্জের মাঠিতে চারা নাছিয়ে দিব। এ দেশ শেখ হাসিনার, নারায়ণগঞ্জও শেখ হাসিনার। তিনি সকল কিছুর খোঁজ খবর রাখেন। আমাদের ঠিকানা একটা জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা।