প্রয়োজনে নেতা, পর চিটার!

লেখক: নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২ years ago

গিয়াসউদ্দিন জাতীয় পার্টির কেউ না এমন বক্তব্যে নিয়ে সর্বস্থরের দেখা মিলেছে সমালোচনা 
গিয়াসউদ্দিন জাতীয় পার্টির কেউ না ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর এমন বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। মহানগর জাতীয় পার্টি আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বিগত প্রায় ১ বছর যাবত সর্বত্র সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন।
বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বন্দর – সোনারগাঁও সর্বত্র বিচরন করতেন গিয়াস উদ্দিন। জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর সফর সঙ্গী ছিলেন গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। প্রায়ত সাংসদ নাসিম ওসমানের একজন বিশস্ত লোক ছিলেন গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনালগ্ন জাতীয় পার্টির মাধ্যমে। জাতীয় পার্টির তৃনমুল হতে উঠে আসা গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী সম্প্রতি ভূয়া একটি মামলায় তিনি জেল হাজতে যাওয়ার পর তাকে সরাসরি হিট করেন জেলার স্ব-ঘোষিত জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু। তার এমন বক্তব্যের পর সর্বত্র একই প্রশ্ন প্রয়োজনের নেতা, গ্রেফতারের পর চিটার সংবাদটি প্রকাশিত হয়। প্রকৃত অর্থে মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী না হলে সানাউল্লাহ সানুও জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক না। কারন কেন্দ্র হতে জেলা ও মহানগরের আহবায়কের কোন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়নি।
বন্দর ও সোনারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে দেখা করতে যায় সানু, গিয়াস উদ্দিন, আফজাল হোসেনসহ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জি এম কাদেরের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন। যা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সানাউল্লাহ সানু জেলার আহবায়ক, মহানগর জাতীয় পার্টি আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য সচিব আফজাল হোসেনসহ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পোষ্টার, ফেস্টুন, ব্যানারে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক পরিচয় দেওয়া হয়। এখন একটি স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলায় গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জেল হাজতে যাওয়ার পর সুর পালটান সানাউল্লাহ সানু। গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী জাতীয় পার্টির কেউ না হলে, সানাউল্লাহ সানু ও জাতীয় পার্টির কেউ না। কারন জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির কোন কমিটি কেন্দ্র হতে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ বন্দরের তালিকাভুক্ত রাজাকার পরিবারের রোশানলে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।  রাজাকার পুত্রের মামলায় গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জেল হাজতে। রাজাকার পুত্র শহিদ রেজার ম্যানেজার স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জেল হাজতে থাকায় ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে বন্দরের সর্বস্থরের লোকজন। সচেতন মহলের ভাষ্য একজন শিক্ষানুরাগী ও সম্মানী ব্যক্তি প্রকৃত অর্থে স্বাক্ষর জালিয়াতি করছে কি না তা ‘ ফরন্সি বিভাগের ‘ মাধ্যমে স্বাক্ষর পরিক্ষা করলেই মূল চিত্র ভেসে উঠবে।
একজন শিক্ষানুরাগী রোটারিয়ান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে হয়রানি না করে স্বাক্ষর পরিক্ষা করলেই প্রকৃত অপরাধী বের হয়ে আসবে আর  তার যথাযোগ্য আইনের মাধ্যমে বিচার হওয়া দরকার।
বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এলাকার সরকারের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত রাজাকার এম এ ওহাবের ছেলে শহিদ রেজা। রাজাকার এম এ ওহাবের ছেলে শহিদ রেজা একজন চিহ্নিত প্রতারক। তার বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ সহ প্রায় অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। শহিদ রেজার সকল অপকর্মের মূল হোতা তার ম্যানেজার আজিজুল হক মিঠু। আজিজুল হক মিঠু স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় মিথ্যা ঘানি টানছেন মহানগর জাতীয় পার্টির ও জেলা শ্রমিকপার্টির আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।  রাজাকার পুত্র শহিদ রেজার বিরুদ্ধে  ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও ২০ শতাংশ জমি জোড় পূর্বক লিখে নেয়ার অভিযোগ আছে। এক পর্যায়ে ব্লাকমেইল পূর্বক এ অপকর্মের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রয়েছে।  গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বাদী হয়ে এ ঘটনায় ১১-৪-২২ ইং তারিখে আদালতে মামলা করেন। আবার ২৬-৪-২২ ইং তারিখে সি আর মামলা করেন। রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী ২৮-৪ -২২ ইং তারিখে দেওয়ানী মামলা নং- ৩৬/২২। মুন্সিগঞ্জ থানা এলাকার আঃ হাইয়ের স্ত্রী জমিলা খাতুন বাদী হয়ে ১৯-৪-২২ ইং তারিখে শহিদ রেজার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। রাজাকার পুত্র শহিদ রেজার ম্যানেজার আজিজুল হক মিঠুকে দিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতির একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়ে অদৃশ্য কালো শক্তির জোড়ে নিজের প্রতারণা ডাকার চেষ্টা করছে। যাকে বলে শাক দিয়ে মাছ ডাকার সামিল। কোটি কোটি নগদ টাকাসহ সম্পত্তি দখলের মামলা হয়তে নিজেকে রক্ষা করতে এ কৌশল অবলম্বন করেছে বলে সচেতন মহলের ভাষ্য।
অনেকে আবার বলছে রাজাকার পুত্র শহিদ রেজা তার ম্যানেজার দিয়ে একি ভূয়া মামলা সাজিয়ে সম্মানী লোকদের হয়রানি করে সুযোগ বুঝে দেশ ত্যাগ করবে। স্বাক্ষর জালিয়াতি পরিক্ষা ছাড়া কাউকে জালিয়াত বলা সমীচীন না। রাজাকার পরিবারে রোশানলে রোটারিয়ান গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর মত লোকের এমন ভোগান্তির শিকার হতে হলে অন্য সাধারণ লোকদের অবস্থা কি হবে।

 

  • পর চিটার!
  • প্রয়োজনে নেতা