বন্দরে প্রবাস ফেরৎ হাজী দীল জাহানের বাসভবনে দুঃসাহসিক চুরি ঘটনার দীর্ঘ ১৮ দিন পর অবশেষে পুলিশ চোরাইকৃত আংশিক মালামাল উদ্ধারসহ ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত ১৩ জুন সোমবার রাতে বন্দর থানার সোনাকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় চিহিৃত চোর ইমরানসহ দুই চোরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত চোরদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ২টি মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে।
আটককৃতরা হলো বন্দর থানার সোনাকান্দা পানির ট্যাংকি এলাকার শরাফত উল্ল্যাহ ওরফে বাউয়া মিয়ার ছেলে চিহিৃত চোর ইমরান (২৮) ও একই এলাকার গিয়াস উদ্দিন মিয়ার ছেলে রাফসান ওরফে সানি (২৩)। এর আগে গত ২৬ মে থেকে ৩০ মে এর মধ্যে যে কোন সময় বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা পানির ট্যাংকি সংলগ্ন মরহুম হাজী কানু ভিলায় এ চুরি ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে প্রবাস ফেরৎ হাজী দিল জাহান বাদী হয়ে গত ১ জুন অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় ২(৬)২২ নং চুরি মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত চোরদের ১৪ জুন মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে সোনাকান্দা পানির ট্যাংকি এলাকার মৃত হাজী কানু মিয়ার ছেলে হাজী দীল জাহান ও পরিবারের সকল সদস্যরা তার শ^শুড় বাড়ি চুনাভ’রা এলাকায় বেড়াতে আসে। বেড়ানো শেষে গত ৩০মে সন্ধ্যায় ৭টায় হাজী দীল জাহান ও তার পরিবারের সদস্যরা নিজ বাড়িতে ফিরে এসে দেখে ঘরের মুল দরজা ও সকল আলমারি খোলা এবং আলমারি ভিতরে এবং বাহিরে বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলো। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অজ্ঞাত চোরের দল কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও শাশুড়ী সব মিলিয়ে ২০ ভড়ি স্বার্ণালংকার ও নগদ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, বন্দরে ২০ নং ওয়ার্ডের মাহামুদনগর, ফরাজিকান্দা, বেপারীপাড়া, দড়ি-সোনাকান্দা ও সোনাকান্দা পানির ট্যাংকি এলাকায়সহ বিভিন্ন এলাকায় চোরের উপদ্রুপ অণেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক অবক্ষয় ও পুলিশের নিবতার কারনে উল্লেখিত এলাকায় চুরি ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখিত এলাকার চিহিৃত চোর ও ছিচকে চোরদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ২০ নং ওয়ার্ডবাসী। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বন্দর থানার সুযোগ্য অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে স্থানীয় এলাকাবাসী।