বন্দর প্রতিনিধিঃ যৌতুক লোভী প্রতারক স্বামীর নিকট স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রশাসন সহ সমাজের বিভিন্ন লোকের ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক অসহায় নারী।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউপির কেওঢালা বাগদোবাড়িয়া এলাকার হাজ্বী নুরুল ইসলামের মেয়ে মোসাঃ মোতাহারা বেগমের সাথে পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার হাজীপাড়া এলাকার শাহ আলমের পুত্র মোঃ রুহুল আমিনের সাথে ২০১১ সালে ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক সামাজিকভাবে পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য ও দুই লক্ষ টাকা ওয়া সিল দিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক ও নারী লোভী বেকার স্বামী ও তার শশুর বাড়ির লোকজন নগদ টাকা পেতে স্ত্রী মোতাহারাকে চাপ দেয়। স্বামী ও শশুর বাড়ির শান্তির কথা চিন্তা করে স্ত্রী মোতাহারা স্বামীর হাতে নগদ টাকা তুলে দেয়। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি অত্যাচারী স্বামী রুহুল আমিন। সরকারী চাকুরী পাওয়ার আশায় একের পর এক নির্যাতন করতেই থাকে।
ফলে স্বামীর চাকুরীর স্ত্রী মোতাহারা নিজের পরিধেয় স্বর্নালংকার বিক্রি বাবাদ তিন লক্ষ টাকা, এনজিং থেকে উত্তোলন বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা এভাবে প্রায় বিভিন্নভাবে দশ লক্ষ টাকা দেয়। তারপরও নির্যাতন কমেনি। বরং স্ত্রী মোতাহারাকে গোপন রেখে অন্য একটি বিয়ে করে আলাদা সংসার করে।
পরে কোন উপায়ন্তর না দেখে স্ত্রী মোতাহারা নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে ২০১৪ইং সালে সি আর মামলা সহ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে। মামলায় স্বামী রুহুল আমিন গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করে। পরে স্ত্রীকে আর কখনো নির্যাতন করবেনা বলে শর্ত দিয়ে জেল থেকে জামিনে বের হয়। তারপর আবারো চলে স্ত্রী মোতাহারার উপর নির্যাতন। এভাবে কয়েক বছর স্বামী রুহুল আমিন আত্মগোপনে থাকার পর আবারো তাকে নিয়ে সংসার করবে বলে মোতাহারার নিকট চলে আসে। এবং দ্বিতীয়বার ২০১৭ সালে আবারো পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর ও দুই লক্ষ টাকা ওয়া শিল দিয়ে স্বামী রুহুল আমিন মোতাহারাকে বিয়ে করে। প্রকাশ থাকে যে স্ত্রীর দেয়া যৌতুকের টাকায় স্বামী রুহুল আমিনের সরকরী চাকুরী ও হয়। এবং উপকর কমিশনারের কার্যালয় সার্কেল ১৮ সুনামগঞ্জ ১৯ বৈতনিক অঞ্চল সিলেট প্রিয়াঙ্গন কমিউনিটি সেন্টার অবস্থিত কার্যালয়ে কর্মরত। স্ত্রীকে সামাজিক মর্যাদাতো দূরের কথা বরং স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে যাচ্ছে।
এমনকি স্ত্রী হিসেবে স্বামীর কাছে স্বীকৃতি পেতে আইন প্রশাসন সহ সকলের ধারে ধারে হন্য হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাতে করে কোন প্রকার কর্নপাত করছেনা স্বামী রুহুল আমিন। বরং তাকে একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এমনকি কখনো স্বামীর মুখোমুখি হলে তাকে হত্যা সহ খুন গুম করিয়া ফেলিবে।
এ অবস্থায় অসহায় স্ত্রী মোতাহারা বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ আইন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করছেন। যেন লম্পট স্বামী রুহুল আমিন মোতাহারাকে সামাজিকভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেন।