দেশ ভয়াবহ সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে : মোস্তফা ভুইয়া

লেখক: জিএম মোস্তফা, ঢাকা
প্রকাশ: ১ বছর আগে

শাসকদের এক ঘুয়েমী নীতির ফলে দেশ ভয়াবহ সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশ-জাতি এখন পাগলের হাতে। দুর্নীতিবাজ আর লুটেরা সিন্ডিকেট নামক ‘চোরদের’ পাহারাদার হচ্ছে সরকার।

সোমবার (১৮ জুলাই) মগবাজার দিলু রোডে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র ৫২তম ও বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ মহাসচিব মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান’র ৫১তম জন্ম দিন উপলক্ষে বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ পালন জাতীয় কমিটি আয়োজিত জন্মদিনের আড্ডায় তিনি সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকট শুধু শ্রীলঙ্কাতেই সীমাবদ্ধ নেই। ইউরোপ থেকে শুরু করে এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ একই সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই অবস্থায়ও সরকার জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। যা আগামী দিনে সংকটের আরো বেশী ঘনিভূত করবে।

তিনি বলেন, সপ্তাহে একদিন পেট্রোলপাম্প বন্ধ থাকবে, মসজিদে এসি চলেবে না, এলাকা ভিত্তিক লোডসেডিং চলবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহনের মধ্যে দিয়ে সরকার নিজেই প্রমান করলো সরকারের মন্ত্রীরা যথ উচু গলায়ই কথা বলেন না কেন দেশ সংকটের মধ্যে রয়েছে।

ন্যাপ মহাসচিব আরো বলেন, দেশবাসীকে বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের অতিকথন ও আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হচ্ছে। সরকারের ভুল নীতি, জ্বালানিখাতে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সিস্টেম লসের কারণে আজ বিদ্যুতের এই বেহাল দশা। অথচ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ দম্ভ করে বলে আসছিলেন যে, শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করে লোডশেডিং তারা যাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ভর্তুকির নামে প্রতিদিন জনগণের করের কোটি কোটি টাকা অপচয় করেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারের ব্যর্থতা প্রমানিত।

তিনি বলেন, নির্বাচনী মৌসুম আসলেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপসনালয় বসতবাড়ী-সহায় সম্পত্তি আক্রান্ত হয়। পুরোপুরি রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই, রাজনৈতিক পক্ষগুলো এসব ঘটনাকে সাম্প্রদায়িকতা বলে প্রচার করে মাঠ গরম রাখে। এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কেই চিহ্নিত করতে হবে, কারা নেপথ্য শক্তি।বাংলাদেশের সকলকেই মনে রাখতে হবে সংখ্যালঘু বলে কোন জাত নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি বাঙালি। প্রতিটি বাংলাদেশিকে সমান নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।

বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ মহাসচিব মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান বলেন, রাজনীতির যে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবেলায় বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গঠনে সবাইকে প্রস্তত হতে হবে। দেশের কোথাও জবাবদিহিতা নেই। এমন দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। দেশের জন্য রাজা পেতে মুক্তিযুদ্ধে জীবন দেননি বীর শহীদরা। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে জনগণের প্রতিনিধি পেতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা প্রতিনিধি পাইনি, পেয়েছি দুনীর্তিবাজ-লুটেরা শাসক।

তিনি বলেন, দেশে চলমান আদর্শহীন রাজনীতির বলয়ের বাইরে জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তিতে বিকল্প গড়ে তোলা জরুরি। বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে সমগ্র জাতিকে মাসুল দিতে হবে।

এসময় দুই নেতাকে শুভেচ্ছা জানান জাতীয় পার্টি – জেপি প্রেসিডিয়াম সদস্য সাদেক সিদ্দিকী, দেশপ্রেমিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী মু. এনামুল হক, বিডিবি প্রতিষ্ঠাতা শামসুল আলম সুরমা, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি চেয়ারম্যান মুহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, জাগো নারী ফাউন্ডেশনের সভাপতি রেহানা আক্তার রানু, মানবাধিকার সংগঠক সোহেল মৃধা, জাতীয় জনতা ফোরামের মুহম্মদ ওয়ালিদ সিদ্দিকী তালুকদার প্রমুখ।

  • দেশ ভয়াবহ সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে : মোস্তফা ভুইয়া