হাসপাতালের শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১,২০০ রোগী ডায়রিয়া নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছে।
কলেরা ও রোটা ভাইরাসসহ মিশ্র ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে আসছেন বেশিরভাগ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা। নবজাতক থেকে সব বয়সী রোগীর অবস্থায় খারাপ। তবে ১৮ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যাই বেশী।
আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) প্রধান ডা. বাহারুল আলম জানিয়েছেন, করোনা মহামারির আগের বছরগুলোর প্রবণতা বিবেচনা করে আমরা বলতে পারি যে ডায়রিয়া পরিস্থিতি আগামী ৩-৪ সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
চলতি বছর মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব শুরু হয় এবং এখন এটি চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে না বা কমছে না।
গত ১৬ মার্চ গত ৬০ বছরে প্রথমবারের মতো দৈনিক ডায়রিয়া রোগী ভর্তির সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়। সেদিন হাসপাতালে এক হাজার ৫৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল। ২৮ মার্চ ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৩৩৪ জনে দাঁড়ায়।
ডায়রিয়ার জীবাণু পানি বাহিত হওয়ায়, এই সময় পানি ফুটিয়ে খেতে বলছে আইসিডিডিআরবি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ডায়রিয়া হলে এক প্যাকেট খাওয়ার স্যালাইন পানিতে গুলিয়ে খেতে হবে। বাসায় রান্না করা স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যেতে হবে