নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের দুই কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা এবং মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার (১৫ জুন) পৃথক দুটি পৃথক মামলায় তারা আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাদেরকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেয় আদালত।
দুই কাউন্সিলর হলেন ২৩ নং ওয়ার্ড আবুল কাউসার আশা ও ১৩ নং ওয়ার্ড মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমানের আদালতে বন্দর থানার একটি মামলায় আশাকে ও নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে আরেকটি মামলায় খোরশেদকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দুজনেই দুটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা ও ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান দুই কাউন্সিলরকে কারাগারে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
দুটি মামলায় শুনানির সময় আদালত প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, ১৮নং ওয়ার্ডের কামরুল হাসান মুন্না, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব ইফতেখার আলম খোকন, সংরক্ষিত (১৬, ১৭, ১৮) মহিলা কাউন্সিলর আফরোজা হাসান বিভা, সংরক্ষিত (১০, ১১, ১২) মহিলা কাউন্সিলর মিনোয়ারা বেগম, মহিলা সংরক্ষিত (৭,৮,৯) মহিলা কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা, সংরক্ষিত (২২, ২৩, ২৪) মহিলা কাউন্সিলর শাওন অংকন, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: শাহিন মিয়া, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব শাহেন শাহ আহম্মেদ, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: অহিদুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরু উদ্দিন মিয়া।
এসময় তারা বলেন, এসব একাধিক মিথ্যা মামলায় কাউন্সিলদের জড়ানোর কাউন্সিলররা নাগরিক সেবা থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদেরকে জামিন দেয়ার জন্য এবং এ ধরনের মামলায় ভবিষ্যতে যেন তাদের না জড়ানো হয় সেজন্য সবিনয় অনুরোধ করেছেন তারা।