১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ: [gtranslate]
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল পদবী নেতাদের ফুল গ্রহণ করে সময় কাটাচ্ছে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি শেষ পর্যায়ে বন্দর উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়ে তারা ইতোমধ্যে সমালোচিত হয়েছেন। জেলা আওয়ামীলীগের কয়েক নেতা জানান, বন্দর উপজেলা কমিটিতে হাই বাদল মিলে ২৫-৩০ জন, বাকি সদস্যরা হয়েছেন রশিদ কাজিম উদ্দিনের আস্থাভাজন নেতারা।
এ জন্যই তারাই শুধু ফুল নিয়ে মিডিয়াতে ছড়াছড়িতে দেখা গেছে। সভাপতি রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করলেও ঈদের আগেই জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী বাদলের ছবি দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ছবি সম্বলিত নেতারা ঈদের পোস্টার সাটানো হয়।
২০০২ সালের ২৭ মার্চের ১৪ বছর পর ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কমিটিতে সভাপতি পদে আবদুল হাইকে ও সেক্রেটারি পদে আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে সহ সভাপতি করে আংশিক কমিটি দেয়া হয়।
পরে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে জেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতা পৃথকভাবে ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠায়। ওই বছরের ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভুইয়া জানান, সম্মেলন নিয়ে কোন খবর আমাদের জানা নেই। কোন কর্মসূচী না থাকা বর্তমানে ঠান্ডা অবস্থা। সামনে দেখি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ কি নিদের্শনা দেন।
বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে তিনি বলেন, কাদের ওখানে স্থান দিয়েছে? এখানে অনেক মানুষ রয়েছে যারা আওয়ামীলীগ তো দূরের কথা, অঙ্গ সংগঠন বা সহযোগি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না। জাতীয় পার্টি ও ওসমান পরিবারের সাথে জড়িতরাই বন্দর উপজেলার কমিটিতে রয়েছে। হাই বাদল রশিদ কাজিম উদ্দিনের পছন্দের লোকদের দিয়ে কমিটি গঠিত। আমার একা পদক্ষেপে কোন কিছু আসে যায় না, জেলা আরো অনেক নেতারা রয়েছে, তারা কি করলেন? কি বলবো, সব কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীলরা জানেন, তারা কিছু বলে না।
